ভোপাল: মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা – নাসা-তে মোটা মাইনের চাকরি পেয়েছেন। এমন দাবি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের বছর ২০-র যুবক আনসার খান। শুধু তাই নয়, যোগাড় করে ফেলেছিলেন নাসা-র পরিচয়পত্র। সেখানে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার হস্তাক্ষর। কিন্তু শেষপর্যন্ত পুলিশের চোখে ধুলো দিতে পারলেন না আনসার। শ্রীঘরে যেতে হল তাঁকে।
জানা গেছে, আনসারের পড়াশোনা দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত। তিনি দাবি করেন যে, নাসা-র স্পেস অ্যান্ড ফুড প্রোগ্রামে চাকরি পেয়েছেন তিনি। বছরে মাইনে ১.৮০ কোটি টাকা। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আনসারকে সংর্ধনা জানানোর ধূম পড়ে যায় এলাকায়। আর এমনই একটি সভায় কমলাপুর প্রশাসনের আধিকারিকদের নিমন্ত্রণ করতে যাওয়াটাই  কাল হল আনসারের।
আনসার নিমন্ত্রণ করতে গিয়েছিেন পদস্থ পুলিশ অফিসার শশীকান্ত শুক্লাকে। সেই সময় গলায় পরেছিলেন নাসা-র পরিচয়পত্র।  তাঁর অভিজ্ঞ চোখে ধুলো দিতে পারেননি আনসার। প্রথমেই সন্দেহ দানা বাঁধে শশীকান্তর। পরিচয়পত্রে ওবামার স্বাক্ষর দেখে তিনি তাঁর অফিসকে আনসারদের দাবি যাচাই করে দেখার নির্দেশ দেন।
তদন্তে শুধু যে আনসারের প্রতারণাই ধরা পড়ল তা নয়। একইসঙ্গে জানা গেল তিনি বহু লোকের কাছ থেকে টাকাও ধার নিয়েছেন। নাসা-র চাকরির বেতন পাওয়ার পরই টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা ধার করেন আনসার।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৪ আগস্ট স্থানীয় একটি ফটোশপে গিয়ে নাসা-র পরিচয়পত্র জাল করেন আনসার। তাতে বসানো হয় নাসা-র লোগো এবং ওবামার স্বাক্ষর।
আনসারের দাবি সত্যি মনে করে তাঁর স্কুল সহ বিভিন্ন স্থানীয় সংগঠন তাঁকে সম্বর্ধনা দেয়। একটা অনুষ্ঠানে তো হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়কও।
পুলিশ অফিসার বিএস গৌড় বলেছেন, আমাদের এসপি-র মনে পরিচয়পত্রটি দেখেই সন্দেহ হয় এবং আমরা তদন্ত শুরু করি।