চেন্নাই: রাজীব গাঁধী হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নলিনীর আগাম মুক্তির আবেদন খারিজ করে দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
১৯৯৪ সালে তামিলনাড়ু সরকারের চালু করা সংবিধানের ১৬১ ধারায় (রাজ্যপালের ক্ষমা প্রদর্শমনের ক্ষমতাবলে) মেয়াদ শেষের আগেই জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার স্কিমের আওতায় নলিনী আগাম মুক্তির আবেদন করেছিলেন রাজ্য সরকারের কাছে, ২০১৪-র ২২ ফেব্রুয়ারি। আদালতেও আবেদন করেন। যদিও এক বিচারপতির বেঞ্চ তা খারিজ করে দিলে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন নলিনী। গত ২৪ এপ্রিল রায়দান স্থগিত রেখেছিল বিচারপতি কে কে শশীধরন ও বিচারপতি আর সুব্রহ্মন্যমের বেঞ্চ।
রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে সেসময় একই ধরনের একটি আবেদন বিচারাধীন রয়েছে বলে উল্লেখ করে নলিনীর আবেদনের বিরোধিতা করেছিল। তারপর এক বিচারপতির বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের শুনানির সাপেক্ষে নলিনীর আবেদন বিবেচনা করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়।
সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬-র মার্চের রায়ে পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪৩৫ ধারায় মেয়াদ ফুরনোর আগে আগাম মুক্তি দিতে হলে সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির তদন্ত করা মামলাগুলিতে কেন্দ্রের সম্মতি দরকার।
এক বিচারপতির বেঞ্চের রায় বহাল রেখে ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, নলিনীকে সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া থাকা আবেদনের ফয়সালা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, নলিনীর আবেদন বাতিল করে দেয়। এক বিচারপতির বেঞ্চের বক্তব্যের সঙ্গে তারা সম্পূর্ণ সহমত বলে জানায় ডিভিশন বেঞ্চ।
তবে শুনানির সময় বেঞ্চের সামনে নলিনীর কৌঁসুলি রাধাকৃষ্ণান বলেন, তাঁর মক্কলে ১৬১ ধারার আওতায় আগাম মুক্তির আবেদন করেছেন। এই মামলার সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কোনও সম্পর্কই নেই।