মুম্বই: জাকির নায়েককে কেন্দ্র করে আলোড়ন। ঢাকার গুলশনের হামলাকারীদের কেউ কেউ এই বিতর্কিত ইসলাম প্রচারকের ‘আগুনে’ ভাষণে উদ্ধুব্ধ হয়েছিল, এই তথ্য সামনে আসার পর তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে। সেই প্রেক্ষাপটেই একদিকে কেন্দ্র যখন তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানাল, তখন জাকিরের বক্তৃতার ব্যাপারে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। মহারাষ্ট্রেই যাবতীয় কর্মকাণ্ড জাকিরের।

তিনি বলেছেন, আমি মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারকে তাঁর ভাষণের তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। প্রসঙ্গত, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভার মুখ্যমন্ত্রী হাতেই। জাকিরের উত্তেজক ভাষণ, তাঁর যাবতীয় সোস্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, তিনি মুম্বইয়ে যে ফাউন্ডেশন চালান, তার আর্থিক উত্স, সবই তদন্তের আওতায় আসবে বলে জানান ফড়নবীশ।

জাকিরের সঙ্গে কয়েক বছর আগে একই মঞ্চে হাজির থেকে তাঁর প্রশংসা করার একটি ভিডিও সামনে আসায় ফেঁসে গিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। তাঁকে এজন্য নিশানা করেছে বিজেপি।

 

তাঁরই ‘উগ্র’ ভাষণ উদ্দীপ্ত করেছে গুলশনের হামলাকারীদের, এহেন অভিযোগে  কাঠগড়ায় ওঠা জাকির এদিন মুখ খুলেছেন। তাঁর দাবি, সব মুসলিমের সন্ত্রাসবাদী হওয়া উচিত---তাঁর এহেন মন্তব্যকে মূল প্রসঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখানো হচ্ছে।  তিনি সন্ত্রাসবাদ ও নিরীহ মানুষের হত্যার সম্পূর্ণ বিরোধী বলে জানিয়েছেন জাকির।

 

মক্কা থেকে পিটিআইকে তিনি বলেছেন, ভারতে অনেক খবরের চ্যানেল আমার ভাষণের একটি ক্লিপিং দেখাচ্ছে। আমি তাতে বলছি, প্রতিটি মুসলমানের উগ্রপন্থী হওয়া উচিত। যে বা যারা আমাকে হেয় করতে চায়, তারা ওই ক্লিপিং দেখাবে। কিন্তু আমার কথাটাকে প্রসঙ্গ থেকে আলাদা করে দেখানো হচ্ছে। আমি বলেছি, কাউকে যে সন্ত্রস্ত করে, সে সন্ত্রাসবাদী। আমি এই উদাহরণও দিয়েছি যে,  একজন পুলিশকর্মী ডাকাতকে সন্ত্রস্ত করেন। তাহলে সেই ডাকাতের কাছে পুলিশ হল সন্ত্রাসবাদী। ঠিক সেভাবেই সমাজবিরোধীদের কাছে সন্ত্রাসবাদী হতে হবে প্রতিটি মুসলিমকে।

 

তিনি গুলশনের ঘাতকদের হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠতে প্ররোচিত করেছেন, এহেন অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন জাকির।