মুম্বই: শিবসেনার হাত ধরে মহারাষ্ট্রে কি সরকার গড়তে আদৌ ইচ্ছুক এনসিপি-কংগ্রেস জোট? উত্তর তো নেই-ই, উল্টে জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে পরিস্থিতি। গতকাল এই সরকার গঠন নিয়েই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার কিন্তু আলোচনা নিয়ে মুখ বন্ধ রেখেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত টুইট করেছেন, ধরন বদলাও, লক্ষ্য নয়।


মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে চলছে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া। প্রায় রোজই শোনা যাচ্ছে, সরকার গড়া নিয়ে বোঝাপড়া প্রায় সম্পূর্ণ, শিবসেনার কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবেন, আর কংগ্রেস-এনসিপি পাবে উপ মুখ্যমন্ত্রিত্ব, আড়াই বছর করে। দীর্ঘদিনের পুরনো জোটসঙ্গী বিজেপির হাত ছেড়ে শিবসেনা ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে বিরোধী শিবিরে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সরকার গঠন নিয়ে জল্পনাই সার, প্রক্রিয়া এতটুকু এগোয়নি। শরদ পওয়ার এখনও জানাচ্ছেন না, এতদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী শিবসেনার হাত ধরে সরকার গঠনে তাঁদের আদৌ সায় আছে কিনা, সনিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছেন ঠিকই কিন্তু তারপর আবার বলেছেন, কোনও দলকে সমর্থন নিয়ে তাঁদের কোনও কথা হয়নি। এরপর শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত আবার পওয়ারের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন, বলেছেন, তাঁরা আত্মবিশ্বাসী, শিগগিরই তাঁদের নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠিত হবে। জীবনে কিছু পেতে হলে ধরন বদলাও, লক্ষ্য নয়, তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ টুইট। নীচে লেখা, জয় মহারাষ্ট্র, যা বুঝিয়ে দিচ্ছে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি মাথায় রেখেই মন্তব্যটি করেছেন তিনি।

সেনা প্রকৃত অর্থেই পড়েছে উভয় সঙ্কটে। এনডিএ-তেও তারা নেই, আবার এনসিপি-কংগ্রেস পরিষ্কার কিছু জানাচ্ছেও না। আজ আবার মুখপত্র সামনা-য় তারা বিজেপিকে আক্রমণ করে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে যে, তাদের এনডিএ থেকে বার করে দেওয়ার বিজেপি কে?  অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই এর মধ্যে বার্তা খুঁজে পাচ্ছেন।