নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি তো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নামমাত্র, আসলে পিছনে কলকাঠি নেড়েছে মোদী সরকার। এএপি সরকার যেভাবে দিল্লিতে মানুষের সেবা করছে, তা তারাসহ্য করতে পারছে না। এভাবেই সংসদীয় সচিব বিল বিতর্কে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। তাদের দাবি, রাষ্ট্রপতি ওই বিল প্রত্যাখ্যান করলেও আসলে তা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সংসদীয় সচিব পদে কাজ করা বিধায়করা গাড়ি, বাংলো, মাইনে কিচ্ছু পান না, সবাই কাজ করেন বিনা মূল্যে। এএপিকে অসুবিধেয় ফেলতে মোদী সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে লাভজনক পদ বিতর্কে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
উল্টোদিকে বিজেপির অভিযোগ, আইন ভেঙে বিধায়কদের সুবিধে পাইয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করার চেষ্টা করছিল কেজরিওয়াল সরকার, যা রাষ্ট্রপতি নাকচ করে দিয়েছেন। মানে মানে কেজরিওয়ালের পদত্যাগ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছে তারা।
গত বছর দিল্লির ছ’জন মন্ত্রীর জন্য ২১জন বিধায়ককে সংসদীয় সচিব পদে নিয়োগ করে আম আদমি পার্টি সরকার। কিন্তু আইন অনুযায়ী, অন্য মন্ত্রীরা নন, শুধু মুখ্যমন্ত্রী একজন সংসদীয় সচিব পেতে পারেন। বিধায়ক হিসেবে তো বটেই, সংসদীয় সচিব হিসেবেও ওই ২১ বিধায়ক বেতন, গাড়ি ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধে পেতে চলায় তা অফিস অফ প্রফিটের আওতায় চলে আসে, অর্থাৎ তাঁরা বেআইনিভাবে দুটি লাভজনক পদ ধরে রেখেছেন। তাই ওই বিধায়ক তথা সচিবদের আইনের ঝক্কি থেকে অব্যাহতি দিতে দিল্লি সরকার সংসদীয় সচিব বিলে সংশোধনী আনে, যাতে সংশ্লিষ্ট বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া থেকে বাঁচানো যায়। কিন্তু রাষ্ট্রপতি সেই বিল ফেরত পাঠানোয় ওই সচিবদের বিধায়কপদ বাঁচানো কার্যত অসম্ভব হয়ে গেল।