নয়াদিল্লি: সাহারা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান সুব্রত রায়কে বিপাকে ফেলে তাঁর অ্যাম্বি ভ্যালি প্রকল্প নিলামে চড়ানোর নির্দেশ দিল সু্প্রিম কোর্ট। বিনিয়োগকারীদের ফেরত দিতে টাকা জমা রাখার নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ পেয়ে এই সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের। তাছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সেবি-র কাছেও সাহারার ১৪ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা দেনা রয়েছে। সেই অর্থ পুনরুদ্ধারে পুনের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা অর্থমূল্যের অ্যাম্বি ভ্যালির সম্পত্তির ওপর নজর পড়েছে সু্প্রিম কোর্টের। ২৮ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিনও সুব্রত রায়কে সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
গত ৬ এপ্রিলের শুনানির সময়ই শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, সাহারা গোষ্ঠী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকা সেবি-সাহারা রিফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা দিতে না পারলে অ্যাম্বি ভ্যালি নিলামে তোলা হতে পারে। তখন টাকা জমা দেওয়ার সময়সীমা আর বাড়াতে রাজি হয়নি বেঞ্চ। তারপরও সাহারা নির্দেশ মানেনি। সোমবার বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি এ কে সিকরির বেঞ্চ কড়া মনোভাব দেখিয়ে বলে, অনেক হয়েছে। আজ একরকম বলছেন, কাল অন্য কথা, এটা চলতে পারে না।
বিচারপতিরা তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, তিনি যেন আদালতের রায়কে হাল্কা ভাবে না নেন, তাদের নির্দেশ না মানলে তাঁকে আদালতের রোষে পড়তে হবে, শেষে নিজের বিপদ তিনি নিজেই ডেকে আনবেন।
শীর্ষ আদালত বম্বে হাইকোর্টের সঙ্গে যুক্ত সরকারি লিকুইডেটরকে অ্যাম্বি ভ্যালির সম্পত্তি নিলামে বেচে সরাসরি তাদের রিপোর্ট দিতে বলেছে। পাশাপাশি বেঞ্চ সুব্রত রায়, সাহারা ও সেবিকেও বলেছে, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাদের ওই সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য লিকুইডেটরকে দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, বিনিয়োগকারীদের ২৪ হাজার কোটি টাকা ফেরত দিতে বলে ২০১২ সালের ৩১ অগাস্টের আদালতের নির্দেশ পালন না করায় সুব্রত রায় ও আরও দুই ডিরেক্টর রবিশংকর দুবে ও অশোক রায়চৌধুরিকে গ্রেফতার করা হয়।