নয়াদিল্লি: 'মেক ইন ইন্ডিয়া' কর্মসূচি পরিণত হয়েছে 'বাই ফ্রম চায়না'-য়! আঞ্চলিক সার্বিক সহযোগিতা বোঝাপড়া (আরসিইপি) নিয়ে কটাক্ষ রাহুল গাঁধীর। কংগ্রেস নেতার ট্যুইটে অভিযোগ, এই প্রস্তাবিত অবাধ বাণিজ্য চুক্তির ফলে দেশের বাজার ছেয়ে যাবে সস্তা পণ্যে। অসংখ্য মানুষ কাজ হারাবেন, অর্থনীতি পঙ্গু হবে। ব্যাঙ্ককে আরসিইপি নিয়ে বহু প্রতীক্ষিত আলোচনা যখন চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগচ্ছে এবং খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাইল্যান্ডের রাজধানীতেই ছিলেন, তখন রাহুলের এই আক্রমণ। তিনি লিখেছেন, প্রতি বছর আমরা ভারতীয়দের জন্য মাথাপিছু ৬ হাজার টাকার পণ্যসামগ্রী আমদানি করি। ২০১৪ থেকে যা ১০০ শতাংশ বেড়েছে।

দুদিন আগে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী স্বয়ং এই চু্ক্তি প্রসঙ্গে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করার ফলে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট আঘাত লাগবে, কৃষক, দোকানি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অভূতপূর্ব বিপর্যয়, সঙ্কটে পড়বেন বলে অভিমত জানান তিনি।
প্রস্তাবিত অবাধ বাণিজ্য লেনদেন বোঝাপড়ায় দক্ষিণপূর্ব এশিয় দেশগুলির সংগঠনের ১০টি সদস্য দেশ ও সেই ব্লকের আলোচনা প্রক্রিয়ায় যোগদানকারী ৬টি দেশ-চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থাকছে।

ব্যাঙ্ককে তিনদিনের আসিয়ান শীর্ষবৈঠকে আরসিইপি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সম্ভাব্য বিলম্বের কারণ হিসাবে ভারতের অবস্থানের কথা বলা হচ্ছে। ভারত বাজারে পা রাখার সুযোগ ও শুল্ক সংক্রান্ত ইস্যুতে নিজের অবস্থানে অনড়। ভারত বলে দিয়েছে, এই সংক্রান্ত বিষয়ে তার দাবির সুষ্ঠ সমাধান চাই।