নয়াদিল্লি: শুক্রবার থেকে শুরু হল ভারতীয় নৌসেনার বার্ষিক মালাবার নৌ-মহড়া। প্রতিবারের মতো এবারের নৌ-মহড়াতেও অংশগ্রহণ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে, এবছরই প্রথমবার অংশ নিয়েছে জাপানও।


গতবার এই মহড়া হয়েছিল ভারতীয় মহাসাগরে। এবারে হচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগরে। তবে মহড়াস্থল দক্ষিণ চিন সাগরের খুব কাছে হওয়ায় দেখা দিয়েছে বিতর্ক।

তিন দেশ থেকে মোট ১০০টি যুদ্ধবিমান এবং একটি পরমাণু-শক্তিচালিত সাবমেরিন সহ ২২টি রণতরী এবারের মালাবার মহড়ায় অংশ নিতে হাজির হয়েছে। ভারতীয় নৌসেনার তরফে চারটি রণতরী পাঠানো হয়েছে। মহড়ার প্রথম দফা ১০ থেকে ১৩ তারিখ জাপানের সাসেবোতে হবে। দ্বিতীয় দফা হবে ১৪ থেকে ১৭ ওকিনাওয়াতে।

নৌসেনার পূর্বাঞ্চল থেকে পাঠানো হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি স্টেলথ ফ্রিগেট আইএনএস সায়াদ্রী ও আইএনএস সতপুরা। পাঠানো হয়েছে আধুনিক ফ্লীট ট্যাঙ্কার আইএনএস শক্তি এবং দেশীয় মিসাইল কর্ভেট আইএনএস কির্চ।

অন্যদিকে, মার্কিন নৌসেনার তরফে অংশ নিয়েছে বিশালকায় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জন সি স্টেনিস। এই রণতরীতে মোট ৯০টি যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার ধরে। এছাড়া রয়েছে তিকোনডেরোগা শ্রেণীর ক্রুজার ইউএসএস মোবাইল বে এবং আর্লে বুর্ক শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস স্টকডেল এবং ইউএসএস চাং হুন। আবার জাপান থেকে এসেছে হেলিকপ্টার-বাহী জেএস হিউগা সহ ১০টি অত্যাধুনিক রণতরী।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই মহড়ায় তিন দেশের নৌ-বাহিনীর স্পেশাল ফোর্স (নৌ-কম্যান্ডো) মধ্যেও বিশেষ বৈঠক ও অনুশীলন হওয়ার কথা।

তবে, এসব চমকের বাইরে এবারের মালাবার সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভিন্ন কারণে। মহড়া যে অঞ্চলে হচ্ছে, তা পূর্ব চিন সাগরে অবস্থিত কয়েকটি বসতিহীন দ্বীপপুঞ্জের কাছে। প্রসঙ্গত, ওই দ্বীপপুঞ্জের ওপর দখল নিয়ে জাপান ও চিনের মধ্যে একটি চোরাস্রোত দীর্ঘদিন ধরেই বইছে। জাপানিরা এই দ্বীপকে সেনকাকু বলে ডাকে, অন্যদিকে চিনের দাবি দিয়াওয়ু নামের ওই দ্বীপ তাদের দখলে।