বিহারে আরজেডি, কংগ্রেসের জোট ভেঙে বেরিয়ে নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে একহাত নেন তাঁরা। পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড থেকে প্রচুর আরজেডি সমর্থক আসেন পটনার গাঁধী ময়দানের সমাবেশে। লালুর ১০ সার্কুলার রোডের বাসভবনের বাইরেও জড়ো হতে দেখা যায় অগনিত আরজেডি কর্মীকে। তাঁরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, লালু, তেজস্বীকে ধোঁকা দিয়েছেন নীতীশ, তাঁকে বিজেপির হাত ধরতে হত, গত বিধানসভা ভোটে তিনি লালুজিকে ব্যবহার করেছেন।
রঘুবংশ প্রসাদ সিংহ, আবদুল বারি সিদ্দিকি, শিবানন্দ তেওয়ারির মতো লালুর দলের নেতারাও 'মহাগঠবন্ধন' ভেঙে বিজেপির হাত ধরে সরকার গড়ায় নীতীশকে কাঠগড়ায় তোলেন। লালু-পুত্র তথা রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে 'বিহারের ভবিষ্যতের নেতা' বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী না এলেও সাফল্য কামনা করে বার্তা পাঠান। মোবাইল বাজিয়ে তা শোনানো হয় সভায়।
সব মিলিয়ে ২১টি দলের নেতারা যোগ দিয়েছেন লালুর এই কর্মসূচিতে। এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে স্বাগত জানান লালু, রাবড়ি দেবী। মমতার পা ছুঁতে দেখা যায় তেজস্বী যাদবকে।
কংগ্রেসের গুূলাম নবি আজাদ, সিপি জোশী, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা হাজির। মাথার ওপর বিদ্রোহের খাঁড়া নেমে আসার আশঙ্কা নিয়ে যোগ দিয়েছেন বিদ্রোহী জেডি ইউ নেতা শরদ যাদব, তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাসপেন্ড হওয়া জেডি ইউ এমপি আলি আনোয়ারও। বাম শিবিরের প্রতিনিধি হিসাবে এসেছেন সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক এস সুধাকর রেড্ডি, সম্পাদক ডি রাজা। ছিলেন এনসিপি নেতা-সাংসদ তারিক আলি। দেখা যায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা প্রধান তথা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, জেভিএম সভাপতি বাবুলাল মারান্ডিকে।
সব মিলিয়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধ চেহারা তুলে ধরার জোরদার প্রয়াস।
সভা শুরুর আগে সাংবাদিকদের লালু জানান, ঐতিহাসিক, অভূতপূর্ব হয়ে উঠবে এই সভা। সমাবেশ থেকে তিনি রাজ্যবাসীকে ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি ও নীতীশকুমারকে ভাগিয়ে দেওয়ার শপথ নিতে আহ্বান জানাবেন।