নয়াদিল্লি ও কলকাতা: মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ফের রাজধানীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


নোট ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নতুন রণকৌশল স্থির করতে কংগ্রেস নেতৃত্বে মঙ্গলবার বৈঠকের ডাক দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। তাতে যোগ দিতেই সোমবার বিকেলে দিল্লি পৌঁছন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।


রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে মমতা জানান, কংগ্রেসের তরফে তাঁকে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই তিনি রাজধানী যাচ্ছেন। তিনি বলেন, দেখা যাক কী হয়।


দলীয় সূত্রে খবর, দিল্লিতে আগামী তিনদিন থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই সময় তিনি বিভিন্ন বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে খবর। তৃণমূলের এক নেতা এদিন জানান, নোট বাতিলের ফলে দেশজু়ড়ে সাধারণ মানুষকে যে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তা তুলে ধরাই দলের উদ্দেশ্য।


সূত্রের খবর, আগামীকাল কনস্টিটিউশন ক্লাবের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। পাশাপাশি, থাকবেন ডিএমকে, আরজেডি-র শীর্ষ কর্তারা। কংগ্রেস চাইছে, সংসদের বাইরেও বিরোধীদের এক ছাতার তলায় এনে মোদী সরকারকে আরও কোণঠাসা করতে।


সূত্রের খবর, আগামীকালের বৈঠকে নোট বাতিলের পাশাপাশি, রাহুল গাঁধীর আনা প্রধানমন্ত্রীর ‘ব্যক্তিগত দুর্নীতি’ নিয়েও সভা গরম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবারের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে এদিন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও প্রদেশ সভাপতিদের নিয়ে নিজের বাসভবনে বৈঠক করেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি।


এদিকে, বৈঠকের আগে বিরোধী শিবিরে ‘ভাঙন’-ও স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই বামেরা জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই বৈঠকে যোগ দেবে না। একই পথ অনুসরণ করতে পারে জেডি(ইউ)-ও। এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।


এদিন কলকাতায় সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, আমরা কংগ্রেসের আহ্বানে বিরোধী দলগুলির যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীদের মধ্যে আলোচনা ও সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।


বামেদের পিছু হঠা নিয়ে তৃণমূলের এক শীর্ষ কর্তা জানান, এটা সিপিএমের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে আমাদের মনে হয়, ওরা কোন দিকে থাকবে, সেই সিদ্ধান্ত ওদের নেওয়া উচিত।


শুধু বাম বা জেডিইউ নয়। বৈঠকে থাকা বা না থাকা নিয়ে এখনও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টিও। বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল এনসিপি-র তারিক আনওয়ারের। কিন্তু, মায়ের মৃত্যুর ফলে, তিনিও আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। তার পরিবর্তে কে আসবেন, তা এখনও অস্পষ্ট।


তবে, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেসও। এদিন জয়রাম রমেশ জানান, কালকের বৈঠকে যারা আসছে না, তারা পরের বৈঠকে আসবে। তিনি বলেন, কিছু দলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে তা যে বৈঠকে প্রভাব ফেলবে না, সেই নিয়ে তিনি আশাবাদী।