নয়াদিল্লি: ‘কোথায় লকডাউন, সিদ্ধান্তের ভার ছাড়া হোক রাজ্যকে। কেন্দ্র সব খুলে রাজ্যকে লকডাউন কার্যকর করতে বলছে। ট্রেন চালিয়ে, সীমান্ত খুলে, বলছে সঙ্কটের মোকাবিলা করো। কোথায় লকডাউন, প্রয়োজন বুঝে সিদ্ধান্ত নিক রাজ্য। এটা পরস্পরবিরোধী, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বললেন মমতা। ‘কেন্দ্রের নেতৃত্বে মেনেই চলছে রাজ্য সরকার। প্রত্যাশিত ফল না মিললে, দায় এড়ানো চলবে না। ভিনরাজ্যে আটকে পড়াদের ফেরাতে বাংলা তৈরি। ইতিমধ্যেই লক্ষ মানুষ বাংলায় ফিরেছেন। আটকে পড়াদের স্বাস্থ্য, খাবারের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকে ট্রেনের ভাড়া কেন? কেন্দ্র দিতে না পারলে রাজ্য তৈরি’, প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লকডাউনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে চলতি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। লকডাউনের ভবিষ্যত নিয়ে এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হতে পারে। সূত্রের খবর এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্র প্রতিদিন নতুন নতুন নির্দেশিকা পাঠায়। সেগুলি পড়তে পড়তে ও অনুসরণ করতে করতে ক্লান্তি চলে আসে।
‘গ্রামে যেন করোনা-সংক্রমণ না ছড়ায়’,মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী ।করোনার বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াইয়ের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ভারতের লড়াইয়ের সাফল্য মেনেছে গোটা বিশ্ব।’
এই লড়াইয়ে সমস্ত রাজ্য সরকারগুলির প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আর্থিক উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার আশ্বাসও দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পঞ্চম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা,‘ধীরে হলেও, কিছু অংশে ফিরছে অর্থনীতির হাল। সংক্রমণ ঠেকাতে বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব।’
বৈঠকে ৩১ মে পর্যন্ত উড়ান বন্ধ রাখার অনুরোধ করে তামিলনাড়ু।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও যোগ দেন। করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এটি পঞ্চম বৈঠক। এই বৈঠক সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁদের মতামত জানাবেন।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধী বিজেপির তীব্র বাকযুদ্ধ চলছে।