নয়াদিল্লি: খাদি গ্রামোদ্যোগ কমিশনের ক্যালেন্ডার থেকে মহাত্মা গাঁধীর ছবি সরিয়ে দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ব্যঙ্গ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটে তাঁর খোঁচা, ‘চরকা ও মহাত্মা গাঁধীর মহান প্রতীকের বদলে এবার মোদীবাবুর ছবি দেওয়া হয়েছে। খাদির ক্যালেন্ডার ও ডায়েরিতে মহাত্মা গাঁধীর বদলে মোদীর ছবি। গাঁধীজি জাতির জনক। মোদীজি কী???’





খাদি গ্রামোদ্যোগ কমিশনের নববর্ষের ক্যালেন্ডারে এবার মহাত্মার ছবি নেই। তিনি যেভাবে চরকা চালাতেন, সেই একই ভঙ্গিতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ছবি রয়েছে। খাদি গ্রামোদ্যোগ কমিশনের কর্মীরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এই ঘটনা নিয়ে মমতার পাশাপাশি মোদীকে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীও। ট্যুইটে তিনি বলেছেন, ‘এটা মঙ্গলায়ণের প্রভাব।’ রাহুলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মঙ্গলে ভারতের মহাকাশযান পাঠানোর কৃতিত্ব নিতে চাইছেন, সেভাবেই বোঝাতে চাইছেন, তাঁর জন্যই খাদি জনপ্রিয় হয়েছে।

কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সূরজেওয়ালা বলেছেন, ‘গাঁধী ও খাদি আমাদের ইতিহাস, আত্ম-নির্ভরতা এবং সংগ্রামের প্রতীক। গাঁধীর ছবি সরিয়ে দেওয়া মহান ব্যক্তির অসম্মানের সমান অন্যায়।’

বিতর্কের মুখে খাদি গ্রামোদ্যোগ কমিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেছেন, গত বছরের অক্টোবরে পঞ্জাবের লুধিয়ানায় ৫০০ জন মহিলার হাতে চরকা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণ করেই ক্যালেন্ডারে তাঁর ছবি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কংগ্রেসের সমালোচনার জবাবে বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেছেন, কংগ্রেস ও একটি পরিবার এত বছর ধরে রাজনৈতিক স্বার্থে মহাত্মার নামের অপব্যবহার করেছে। জাতির জনকের প্রতি তাদের ভালবাসা শুধু নোটেই সীমাবদ্ধ ছিল। মহাত্মা গাঁধীর সঙ্গে কোনও যোগ না থাকলেও, ওই পরিবার নিজেদের গাঁধী বলে দাবি করে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীই দেশের সব মানুষের কাছে গাঁধীজির দর্শন পৌঁছে দিয়েছেন।