পটনা: রবিবার বিহারের রাজধানী পটনার গাঁধী ময়দানে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের ‘বিজেপি ভাগাও দেশ বাঁচাও’ সমাবেশ। সেখানে থাকছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব, জেডিইউ-এর বিক্ষুদ্ধ নেতা শরদ যাদবরা। এই সভায় অবশ্য সিপিএম এবং বহুজন সমাজ পার্টি থাকছে না। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীও এই সমাবেশে থাকছেন না। তবে কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ, সিপি জোশী ও হনুমন্ত রাও।


আরজেডি সূত্রে খবর, এই সমাবেশে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি ছাড়াও থাকছেন সিপিআই, আরএলডি, জেএমএম, জেভিএম, ডিএমকে, কেরল কংগ্রেস, আরএসপি, এআইইউডিএফ, ন্যাশনাল কনফারেন্স ও জেডিএস-এর নেতারা। মমতা এই সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা জানানোয় তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লালু। তিনি আরও বলেছেন, যে দলগুলির প্রধান নেতারা এই সমাবেশে যোগ দিতে পারছেন না, তাঁরা অন্য নেতাদের পাঠাচ্ছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই সমাবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপি-কে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে তোপ দেগে লালু বলেছেন, ‘এখন দেশে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। যাঁরাই প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই আদালতে মামলা করে হেনস্থা করা হচ্ছে।’

বিজেপি ও জেডিইউ অবশ্য রাজ্যের ১৯টি জেলায় ভয়াবহ বন্যার সময় লালুর এই সমাবেশের সমালোচনা করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে দাবি করেছেন, লালু ও তাঁর দলের নেতারা বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াননি। তাঁরা বন্যা কবলিত অঞ্চলে যাননি পর্যন্ত। বিহারের জেডিইউ প্রধান সঞ্জয় সিংহ বলেছেন, ‘বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে লালুপ্রসাদ নিজের ও দুই ছেলের মুখ দেখাতে ব্যস্ত। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২৭ অগাস্ট কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’

গাঁধী ময়দানে এই সমাবেশ উপলক্ষে দুটি বড় মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। আরজেডি সমর্থকরা ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন। সমাবেশ উপলক্ষে আসা নেতা-নেত্রীদের স্বাগত জানানোর জন্য তোরণ বানানো হয়েছে। চারদিক পোস্টার, ব্যানারও লাগানো হয়েছে। পটনার জেলাশাসক সঞ্জয় কুমার অগ্রবাল বলেছেন, রবিবার গাঁধী ময়দানে ৬,০০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন। গাঁধী ময়দানের ভিতরে ও বাইরে মোট ৬৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।