কলকাতা ও নয়াদিল্লি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি-বহুজন সমাজ পার্টির জোট গঠনের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেন, কটাক্ষ করল বিজেপি। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে কংগ্রেসকে বাইরে রেখেই আজ জোট গড়লেন অখিলেশ সিংহ যাদব, মায়াবতী। রাজ্যের মোট ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রে দুদল ৩৮টি করে আসনে প্রার্থী দিয়ে কংগ্রেসকে শুধু অমেঠি, রায়বেরিলি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছে। ওই ২ কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে না সপা-বসপা। কেন্দ্রদুটি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ও তার মা সনিয়া গাঁধীর।
তৃণমূল নেত্রী বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, সপা-বসপা হাত মেলালে জাতীয় রাজনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ধুয়েমুছে সাফ হবে নরেন্দ্র মোদির দল। আজ তিনি ট্যুইট করেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য সপা-বসপার জোটকে স্বাগত জানাই।



অন্যদিকে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ লোকসভা নির্বাচনে অখিলেশ-মায়াবতী জোটের বড় প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা খারিজ করে আজ কটাক্ষ করেন, দেশ বা উত্তরপ্রদেশের স্বার্থে নয়, সপা-বসপা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই সমঝোতা করেছে। ওরা জানে নিজের নিজের শক্তিতে মোদির মোকাবিলা করত পারবে না, ওনার বিরোধিতাই ওদের জোটের একমাত্র ভিত্তি। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি মায়াবতী, অখিলেশের এই দাবিও নাকচ করে দেন যে, ওঁদের জোট লোকসভা নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে। প্রসাদের মন্তব্য, নির্বাচনটা অঙ্ক নয়, রসায়ন। এই নির্বাচন উত্তরপ্রদেশের নয়, ভারতের। মানুষ এমন এক নেতা চান, যিনি ভারতের নেতৃত্ব দেবেন। উত্তরপ্রদেশে ৭৪টা আসন পাব আমরা। আমাদের এনডিএ শক্তিশালী রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য্য আবার সপা-বসপা আঁতাতকে ‘দুর্নীতি ও গুন্ডাবাজির জোট’ বলে আক্রমণ করেন, সেইসঙ্গে বলেন, পরিষ্কার বলতে চাই, জনগণ মোদি ও বিজেপির সঙ্গে দৃঢ়ভাবে আছেন। বিজেপি ২০১৪-র চেয়েও ভাল ফল করে দেখাবে। পিছড়েবর্গ মোদির পিছনে আছে।