মুম্বই:  দু বছর ধরে ৫৫ বছরের এক শিক্ষিকার পিছু ধাওয়া করার জন্য ৬২ বছরের এক বৃদ্ধকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে শিক্ষিকাকে পাঁচ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণও দিতে হবে ওই বৃদ্ধকে।
নির্ভয়া গণধর্ষণের ঘটনার পর ২০১৩-র সংশোধনীতে পিছু ধাওয়াকেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগকারিণী শিক্ষিকার বয়ানের ভিত্তিতেই ওই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। সাজাপ্রাপ্ত সেওরির ব্যবসায়ী ইস্তেখার আনসারি দাবি করেছিলেন যে, ব্যবসার জন্য স্থানীয় একটি দোকানে মালপত্র কিনতে যেতেন তিনি। এরসঙ্গে অভিযোগকারিনীকে পিছু ধাওয়া করার কোনও বিষয় ছিল না। কিন্তু আদালত সেই যুক্তিতে কর্ণপাত করেনি। ভবিষ্যতে ভালো আচরণের প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে দোষীকে রেহাই দিতেও অস্বীকার করে আদালত।
ওই শিক্ষিকা অভিযোগ করেন যে, ২০১৫-তে একটি স্কুলে কাজ করতেন তিনি। হার্বার লাইন ট্রেনে চড়ে যেতেন তিনি। ট্রেন থেকে নেমে স্কুল পর্যন্ত হেঁটেই যেতেন। এরইমধ্যে ওই বৃদ্ধকে তিনি তাঁর পিছু ধাওয়া করতে দেখেন। এই ঘটনা দিনের পর দিন চলে। ওই বৃদ্ধকে তিনি সাবধানও করেছিলেন। কিন্তু তাতে আনসারি পিছু হঠেননি। বিপদ বুঝে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
শিক্ষিকার অভিযোগ, এভাবে পিছু ধাওয়া করায় তিনি যথেষ্ট বিব্রত বোধ করেন।
আদালত সাজা ঘোষণা করতে গিয়ে বলেছে, গত দু বছর ধরে পিছু ধাওয়ার ঘটনা ওই মহিলার পক্ষে যথেষ্ট ভীতিপ্রদ।
এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডের সংস্থান থাকলেও দোষীর বয়স ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে আদালত তিন মাসের সাজা দিয়েছে।