তিনদিন আগেই বিজেপি শাসিত এই রাজ্যেই এক ডেয়ারি মালিকের ওপর হামলা করেছে মারমুখী জনতা। তাঁর বাড়ির বাইরে গরুর দেহাবশেষ পড়ে থাকতে দেখে হাজারখানেক লোক তাঁর বাড়িও জ্বালিয়ে দেয়। তাঁকে কোনওক্রমে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
এর রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার রামগড় জেলার বজরতন্ড গ্রামের কাছে মারুতি ভ্যান চালিয়ে যাওয়া আলিমুদ্দিন ওরফে আসগর আনসারি নামে ওই ব্যক্তির ওপর হামলা হল। গাড়ি থামিয়ে তাঁকে মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
যদিও হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আনসারিকে জনতার হাত থেকে তারা উদ্ধার করে বলে দাবি পুলিশের। কিন্তু হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। আর কে মালিক নামে এক পুলিশ অফিসার ঘটনাটিকে পূর্বপরিকল্পিত হত্যা আখ্যা দিয়েছেন।
জানান, হামলাকারীরা মনে হয় আগে থেকে আনসারিকে মারবে বলে ওঁত পেতে ছিল। আনসারি মাংসের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানান তিনি। মালিক বলেন, হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্ভবত তাদের আনসারির সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। তবে ঘটনার সময় আনসারির গাড়িতে গোমাংস ছিল কিনা, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।
অথচ প্রধানমন্ত্রীর সবরমতী আশ্রম থেকে গোরক্ষকদের উদ্দেশ্যে কঠোর বার্তার পর তারা সংযত হবে, শুভবুদ্ধি ফিরবে বলেই মনে করা হচ্ছিল। মোদী জানিয়ে দেন, হিংসার পথে কোনও সমস্যা মেটেনি, মিটবেও না। কারও অধিকার নেই আইন হাতে তুলে নেওয়ার। গোরক্ষার প্রয়োজন আছে। মহাত্মা গাঁধী, আচার্য বিনোবা ভাবের চেয়ে বেশি গুরুত্ব কেউ এতে কেউ দেননি। কিন্তু এই হিংসা মহাত্মা অনুমোদন করতেন না।
O