জয়পুর: এতদিন ছিল হুমকি, কিন্তু এবার সরাসরি মৃত্যু। পদ্মাবতী-বিরোধী আন্দোলনের জেরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হল। জয়পুরের নাহারগড় কেল্লার প্রাচীর থেকে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। সেই দেহের পাশে দেওয়ালে লেখা, ‘পদ্মাবতীর বিরোধীরা জেনে রাখো, আমরা কেবল কুশপুতুল জ্বালাই না, ঝুলিয়েও দিই।’



পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম চেতন কুমার সাইনি (৪০)। তাঁর বাড়ি শাস্ত্রীনগরে। তিনি হস্তশিল্পের কাজ করতেন। দেহের পাশে পাথরের ওপর কয়লা দিয়ে লেখা, ‘পদ্মাবতীর বিরোধ।’ প্রাথমিক তদন্তের পর মনে হচ্ছে, চেতনকে খুন করা হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।



যদিও পদ্মাবতী ছবির মুখ্য বিরোধী রাজপুত কার্ণি সেনা দাবি করেছে, এই ঘটনায় তাদের কোনও হাত নেই। সংগঠনের সভাপতি মহীপাল সিংহ মাকরানা বলেছেন, এভাবে তাঁরা প্রতিবাদ করেন না। এই ঘটনার নিন্দা করছেন তাঁরা।

চেতন তান্ত্রিকের কাহিনী

মালিক মহম্মদ জায়েসির মহাকাব্য 'পদ্মাবত'-এ তান্ত্রিক চেতনের চরিত্র রয়েছে। তান্ত্রিক চেতন রাঘব চিতোরগড়ের রাজা রতনসেনের দরবারে ছিলেন। একবার তাঁর তন্ত্র বিদ্যার প্রদর্শনে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রতনসেন। তিনি এরপর চেতনকে শুধু দরবারের বাইরেই নয়, দেশ থেকেও বিতাড়িত করেছিলেন।

তান্ত্রিক পূর্ণিমা রাতের আগেই তন্ত্র বিদ্যার প্রয়োগ করে পূর্ণিমার চাঁদ দেখিয়েছিলেন।এতে পণ্ডিতদের সঙ্গে সঙ্গে রাজা রতনসেনও ক্ষুব্ধ হয়ে ছিলেন। তিনি তন্ত্রবিদ্যার বিরুদ্ধে ছিলেন। দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর চেতন রাঘব আলাউদ্দিন খিলজির দরবারে পৌঁছন।  সেখানে খিলজিকে রানী পদ্মাবতীর সৌন্দর্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছিলেন। এরপরই রানী পদ্মাবতীকে পাওয়ার ইচ্ছে দিল্লির সুলতানের মনে জাগ্রত হয়। আর এই কারণেই খিলজি চিতোরগড়ের দূর্গ আক্রমণ করেন।

দেখুন ঘটনার ভিডিও