চেন্নাই: জয়ললিতার মৃত্যুর পর তামিলনাড়ুর শাসক দলে ডামাডোল চরম আকার ধারণ করেছে। দলের একাংশ জয়ললিতার অনুগামী শশীকলাকে এআইএডিএম-কে সাধারণ সম্পাদক করার দাবি তুলেছেন। এরইমধ্যে চেন্নাইতে দলের সদর দফতর দলীয় কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল।এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে বেদম মারধর করা হয়। তিনি গুরুতর জখম হয়েছেন। এই ঘটনার জন্য দলের মুখপাত্র সি আর সরস্বতী এআইএডিএমকে থেকে বহিষ্কৃত সাংসদ শশীকলা পুষ্পাকে দায়ী করেছেন। আহত ব্যক্তি পুষ্পার ‘আইনজীবী’ বলে জানা গেছে। তাঁকে একদল এআইএডিএমকে সমর্থক বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।উল্লেখ্য, দল বিরোধী কাজের জন্য জয়ললিতা পুষ্পাকে বহিষ্কার করেছিলেন।


আগামীকাল এআইএডিএমকে-র জেনারেল কাউন্সিলের বৈঠক। সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণপত্র পেতে পুষ্পা দলের সদর দফতরে আসতে পারেন বলে খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পর এআইএডিএমকে সমর্থকরা সমবেত হন। কেউ কেউ মনে করেন, পুষ্পা হয়ত দলের সর্বোচ্চ পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করারও চেষ্টা করতে পারেন।  পুষ্পা ইতিমধ্যেই দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শশীকলার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

সরস্বতীর অভিযোগ, পুষ্পা এখন দলের কেউ নন। আগামীকালের বৈঠকের আগে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করতে চাইছিলেন তিনি। পুষ্পার আইনজীবীকে বারবার অফিস ছেড়ে যেতে বলা হলেও তিনি যাননি।

এদিকে, জয়ললিতার অনুগামীদের মধ্য ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের মধ্যেই এআইএডিএমকে থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দলের প্রবীণ নেতা তথা চলচ্চিত্র তারকা আনন্দরাজ।তিনি বলেছেন, কারুর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তাঁকে দলের আগামীকালের বৈঠকে ডাকাও হয়নি। দল ও সরকারে জয়ললিতার নামের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেও খেদ প্রকাশ করেছেন আনন্দরাজ।