নয়াদিল্লি:  ৩০ বছর বয়সি এক মহিলা ও তাঁর আঠারো মাসের পুত্র সন্তানকে খুন করলেন স্বামী। ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দম্পতির ওপর দুই নাবালক সন্তানও। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে।


পুলিশ সূত্রে দাবি, মহিলার স্বামী, স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে একাধিকবার কোনও ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। মহিলার সঙ্গে প্রকাশের বিয়ে হয় ২০০৫ সালে। ইদানিং তাঁদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই নানা বিষয় নিয়ে অশান্তি হত। সম্প্রতি মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে পণের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগ জানিয়ে আদালতে মামলাও করেন। আপাতত সেই মামলা বিচারাধীন।

গত একবছর স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকছিলেন। সম্প্রতিই ওই মহিলা ফের তাঁর স্বামীর কাছে ফিরে আসেন।

খুনের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে, যখন অভিযুক্তের ভাই দম্পতির বাড়িতে আসেন। একাধিকবার দরজা ধাক্কা দিলেও, ভেতর থেকে কোনও সারা-শব্দ না আসলে, অভিযুক্তের ভাইয়ের মনে সন্দেহ জাগে। তিনিই পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে পুলিশ দেখে মাটিতে মহিলা ও তাঁর আঠারো মাসের সন্তানের দেহ পড়ে রয়েছে। পাশে বসে রয়েছে সাত ও চার বছরের অপর দুই সন্তান। বড় ছেলেই পুলিশকে জানায় তাদের বাবা, মাকে খুন করেছে। কিন্তু ভয় তারা কাউকে কিছু জানায়নি। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক, এবং খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটিও এখনও উদ্ধার হয়নি।