নয়াদিল্লি: সাত বছরের একটি মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর খুনের চেষ্টা মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরে। এই নৃশংস ঘটনা ঘিরে শহরে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র উত্তেজনা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান দোষীর ফাঁসির সাজা দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ধর্ষকরা পৃথিবীর বোঝা। তাদের বেঁচে থাকার কোনও অধিকারই নেই।
জানা গেছে, ধর্ষণের পর মেয়েটির গলা কেটে খুনের চেষ্টা করে অভিযুক্ত ইমরান ওরফে ভাইয়ু। ছোট্ট মেয়েটির সারা শরীরে অচ্যাচার ও আঁচড়-কামড়ের চিহ্ন। মরে গিয়েছে ভেবে অর্ধমৃত অবস্থায় মেয়েটিকে ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর ছোট্ট মেয়েটি কোনওক্রমে লক্ষ্মণ দরওয়াজা নামে একটি জায়গায় পৌঁছয়। সেখানকার বাসিন্দারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। নৃশংস অত্যাচারের শিকার মেয়েটির আবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় চিকিত্সকরা তাকে ইন্দোর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

শিবরাজ জানিয়েছেন, এটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক ঘটনা। আমরা নির্যাতিতার পরিবারের  পাশে রয়েছি। মেয়েটির শারীরিক অবস্থার দিকেও নজর রেখেছি। ওর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। চিকিত্সকদের সঙ্গে আমি যোগাযোগ রাখছি।
অভিযুক্ত ইমরানকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।অভিযুক্ত মুসলিম। এই সম্প্রদায়ের মহিলারাও অভিযুক্তের এই নারকীয় বর্বরতায় চরম ক্ষুব্ধ। তাঁরাও দোষীর ফাঁসির সাজা দাবি করেছেন।তাঁরা বলেছেন, ওর শেষকৃত্যের জন্যও জায়গা দেওয়া হবে না।
গত মঙ্গলবার ওই ঘটনা ঘটে। মিষ্টি দেওয়ার টোপ দিয়ে স্কুল থেকে ফেরার পথে সন্ধেয় মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত পাকড়াও করে পুলিশ। ধৃত অপরাধ কবুল করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনার ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।