নয়াদিল্লি: ১৬-১৭ বছর বয়সে হরমোনের বড় প্রভাব পড়ে শরীরে। হরমোনের কারণে যাতে কোনও ভুল না হয়ে যায়, তা দেখতেই এই লক্ষণরেখা। হস্টেলের মেয়েদের বাইরে থাকার সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া নিয়ে এমনই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গাঁধী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মন্তব্য নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে।
হস্টেলে থাকা মেয়েদের বাইরে ঘোরার সময়সীমা নির্দিষ্ট করার পদক্ষেপ সমর্থন করে মন্ত্রী বলেছেন, মেয়েদের নিরাপত্তা ও হরমোনের সঙ্গে বিষয়টি যুক্ত।
এক সংবাদ চ্যানেলে মানেকা বলেন, একজন অভিভাবক হিসেবে যখনই কেউ তাঁর ছেলেমেয়েকে কলেজে পাঠান, তখন সেই ছেলেমেয়ের নিরাপত্তাই আমার কাম্য। তাই সুরক্ষার কিছু নিয়মও মেনে চলা জরুরি। ১৬-১৭ বছর বয়স হয়ে গেলে শরীরে হরমোনের কারণে পরিবর্তন হয়। সেই হরমোনাল আউটবার্স্ট থেকে বাঁচানোর জন্য লক্ষণরেখা টানা হয়তো জরুরি।
মানেকা আরও বলেছেন, দু'জন বিহারী ভদ্রলোকের হাতে ডান্ডা ধরিয়ে তাঁদের হস্টেলের গেটে দাঁড় করিয়ে রাখলে কিচ্ছু হবে না। শুধু সময়সীমা নির্দিষ্ট করেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যদি সত্যিই লাইব্রেরি যাওয়া জরুরি হয়, দু’রাত মেয়েরা যাক, দু’রাত ছেলেরা।
কিন্তু এই সময়সীমা নির্ধারণে ছেলেরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে কেন? মানেকার জবাব, ছেলেমেয়ে সকলের জন্য একই সময়সীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে। শুধু ছেলেরাই বা কেন সন্ধে ৬টার পরেও ক্যাম্পাসের বাইরে ঘুরে বেড়াবে। তাদেরও ক্যাম্পাসে থেকে নিজেদের কাজে মন দেওয়া প্রয়োজন।
টিনএজ মেয়েরা হরমোনের কারণে ভুল করতে পারে, তাই তাড়াতাড়ি হস্টেলে ফেরা জরুরি; মানেকার মন্তব্যে বিতর্ক
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
07 Mar 2017 01:03 PM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -