ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাত নটা নাগাদ। তরুণীর পাসপোর্ট খতিয়ে দেখার সময় অভিবাসন দফতরের এক অফিসার বলেন, আপনাকে দেখেতো ভারতীয় বলে মনে হয় না। এর উত্তরে মণিকা জানতে চান ভারতে কতগুলো রাজ্য আছে জানেন? তরুণী সেই অফিসারকে আরও জিজ্ঞেস করেন, ভারতের প্রতিটা রাজ্যের মানুষকে কেমন দেখতে হয় জানেন? তাহলে আমি ভারতীয় কীভাবে প্রমাণ দেব আপনাকে, প্রশ্ন তরুণীর। কিন্তু এই কথপোকথনের মাঝেই আর এক মহিলা অফিসার মণিকাকে দেখে হাসতে শুরু করেন। এই ধরনের ব্যবহারে অপমানিত বোধ করেন তরুণী।
এখানেই লাঞ্ছনার শেষ হয়নি। তরুণী যখন জানায়, তিনি মণিপুরের বাসিন্দা, তখন তাঁর কাছ থেকে অফিসার জানতে চান, মণিপুরের সীমান্তে ভারতের কোন রাজ্য আছে? এই প্রশ্নের উত্তরে মেয়েটি যখন বলেন, তাঁর দেরি হয়ে যাচ্ছে, তখন অফিসার জবাব দেন, আপনাকে ছেড়ে বিমান কোথাও যাবে না।
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পুরো ঘটনার কথা জানিয়েছেন মণিকা। তবে এই ঘটনায় তিনি যেমন বহু মানুষের সমর্থন পেয়েছেন, আবার তেমন মানুষও তালিকায় রয়েছেন যাঁদের দাবি ওই আধিকারিক কোনও বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেননি।
তবে এই সমস্ত কিছুর মধ্যেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ টুইট করে মণিকাকে আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁকে সবরকম ভাবে সাহায্য করা হবে প্রশাসনের তরফে।