রবিবার মোদী অভিযোগ করেন, মণিশঙ্কর আয়ার তাঁকে ‘নীচ আদমি’ বলার আগের দিনই মণিশঙ্করের বাড়িতে প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রী ও পাক হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ সহ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা। গুজরাতের নির্বাচনে নাক গলাচ্ছে পাকিস্তান। সে দেশের সেনাবাহিনীর প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল সর্দার আর্শাদ রফিক কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেলকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী করার আবেদন জানিয়েছেন। এর জবাব দিতে হবে কংগ্রেসকে।
এর জবাবে এক আজ এক ভিডিও বার্তায় মনমোহন বলেছেন, ‘গুজরাতে নিশ্চিত হার বুঝতে পেরে প্রধানমন্ত্রী মরিয়া হয়ে উঠেছেন। সেই কারণেই তিনি যেভাবে পারছেন মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’ এর আগে সোমবারও মোদীকে আক্রমণ করে মনমোহন বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মিথ্যাচার করছেন, তাতে আমি গভীরভাবে ব্যথিত। দেশবাসীর কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য শক্তিব্যয় করার বদলে প্রধানমন্ত্রীর পরিপক্কতা দেখানো উচিত।’
মনমোহন আরও বলেছেন, ‘মণিশঙ্কর আয়ারের বাড়িতে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়েই আলোচনা হয়েছিল। সাংবাদিক, কূটনীতিবিদ এবং সরকারি আধিকারিকদের জাতীয়তাবাদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অন্যায় ও অন্যায্য। প্রত্যেকটি সরকারি দফতরকে কলঙ্কিত করে বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছেন মোদী। এমন একটা দল ও প্রধানমন্ত্রী, যাদের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপস করার ইতিহাস আছে, তাদের কাছ থেকে কংগ্রেসের জাতীয়তাবাদের পাঠ নেওয়ার দরকার নেই। উধমপুর ও গুরদাসপুরে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে প্রধানমন্ত্রী বিনা আমন্ত্রণে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। তিনি পঠানকোটে জঙ্গি হামলার পর সেখানে কেন আইএসআই-কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, সেটাও দেশবাসীকে জানানো উচিত।’