মুম্বই: সরকারি  চাকরি ও শিক্ষায় সংরক্ষণের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে মহারাষ্ট্র। কার্যত রাজস্থানের জাঠ সংরক্ষণ আন্দোলনের পথে হেঁটে ওবিসি কোটায় সংরক্ষণ চেয়ে পথে নেমেছেন মারাঠিরা। এর মধ্যে ঔরঙ্গাবাদে গোদাবরী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে।

রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় চলছে এই সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন। এর মধ্যে ওই আত্মহত্যার ঘটনায় তা আরও তীব্র হয়েছে। বহু জায়গায় আন্দোলনকারীরা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, গাড়ি পোড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে। সংরক্ষণের দাবিতে আজ মুম্বই ও থানে বাদ দিয়ে  গোটা রাজ্যে বনধ ডাকা হয়েছে। হিংসা ছড়াচ্ছে দেখে পরিবহণ বিভাগ ঔরঙ্গাবাদ-পুনে বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে গতকাল এই দাবিতে মরাঠা ক্রান্তি মোর্চা পরভনী জেলায় আহমেদনগর-ঔরঙ্গাবাদ রাজপথ আটকে দেয়, পুলিশের গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাস সহ বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করে। দাবি করে, মরাঠিদের জন্য এখনই শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে ১৬ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা করতে হবে আর আত্মহত্যা করা যুবক কাকাসাহেব শিন্ডের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, তাঁকে দিতে হবে শহিদের সম্মান। দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত মৃতের অন্তিম কাজ করা হবে না বলেও তারা হুমকি দিয়েছে।

ঔরঙ্গাবাদের জেলা শাসক জানিয়েছন, মহারাষ্ট্র সরকার মরাঠা ক্রান্তি মোর্চার প্রায় সব দাবিই মেনে নিয়েছে। আত্মহননকারী যুবকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণও দিয়েছে তারা, তাঁর ভাইকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে।

মরাঠি সংগঠনগুলির হুমকির জেরে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ তাঁর পণ্ঢরপুরের মন্দিরে যাত্রার সূচনা স্থগিত রেখেছেন। বেশ কয়েকটি সংগঠন তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছে, পোড়ানো হয়েছে কুশপুতুল। ৯ অগাস্ট বনধেরও ঘোষণা করে দিয়েছে তারা।

এই পরিস্থিতির জন্য দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী নিজে সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন তা থেকে সরে এসেছেন তিনি।