আমদাবাদ: ইদানীং সোস্যাল মিডিয়ায় আলাপ, পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব প্রেমের পথে এগিয়ে বিয়ের ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ফেসবুকে আলাপ থেকে হওয়া বিয়ে ব্যর্থ হতে বাধ্য। সম্প্রতি একটি গার্হস্থ্য হিংসা মামলা খারিজ করে এমনই অভিমত জানাল গুজরাত হাইকোর্ট।
মামলায় রাজকোটের ফ্যান্সি শাহ পণের জন্য তাঁকে স্বামী জয়দীপ শাহ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন।
বিচারপতি জে বি পরদিওয়ালা বলেন, ওঁদের বিয়ের দু মাসের মধ্যেই সমস্যা মাথাচাড়া দেয় দাম্পত্যে। তবে আমি এটা অবশ্যই বলব, দুজনেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তবে কোনও সমাধানসূত্রে পৌঁছতে পারেননি। আজকাল ফেসবুকের মাধ্যমে যে ধরনের বিয়ে ঠিক হচ্ছে, এটাও তেমনই এক বিয়ে, যা ভেঙে যেতে বাধ্য।
নবসারির বাসিন্দা জয়দীপের ফেসবুকে ফ্যান্সির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ২০১১-য়। জয়দীপ সে সময় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি কোর্স পড়ছিলেন। ২০১৫-র ফেব্রুয়ারি অভিভাবকদের সম্মতিতেই বিয়ে করেন তাঁরা। কিন্তু দু মাস না যেতেই সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে। ফ্যান্সি জয়দীপ, তাঁর ভাই পীযূষ ও শ্বশুর-শাশুড়ি বিকেশভাই ও অনিতাবেনের বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করে দাবি করেন, তাঁকে হয়রানি করছেন, অত্যাচার করছেন ওঁরা। তাঁদের পণ চাই। পাল্টা মামলা খারিজের দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন করেন জয়দীপরা।
ফ্যান্সি, জয়দীপ-দুজনেরই বয়স সবে কুড়ির কোঠায়। বিচারপতি পরদিওয়ালা তাঁদের ডিভোর্সের ভাবনাচিন্তা করে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বলেন, আমি এখনও মনে করি, দুজনেরই সমঝোতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা উচিত, নয়তো সহমতের ভিত্তিতেই বিয়ে ভেঙে দিন। দুজনেরই বয়স কম। বিয়ে ভেঙে গেলে দুজনেই ভবিষ্যতে এগিয়ে চলার রাস্তা ঠিক করার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করতে পারবেন।
ফ্যান্সির অভিযোগ মূলত স্বামীর বিরুদ্ধেই, একথা উল্লেখ করে বিচারপতি শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করে দেন। জয়দীপ অবশ্য রেহাই পাননি। আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


আদালতের অভিমত সম্পর্কে আপনার মতামত লিখুন নীচের কমেন্টস বক্সে