নয়াদিল্লি: নিজের বাল্যবিবাহ বাতিলের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক তরুণী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা রাজস্থানের যোধপুরে। পিন্টু দেবী (১৮) নামে ওই তরুণীর দাবি, ৬ বছর বয়সে জোর করে তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি এখন বিচ্ছেদ চাইছেন। আদালত তাঁর আবেদন গ্রহণ করেছে। এই তরুণীর স্বামীকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।


পিন্টু দেবী জানিয়েছেন, ‘খুব ছোটবেলায় আমার বিয়ে দেওয়া হয়। আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে অপরাধ জগতের যোগ আছে। এছাড়া আরও অনেক কারণে আমি তাঁদের সঙ্গে থাকতে চাই না। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তায় আদালতে আমার আর্জি গৃহীত হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই বিয়ে থেকে মুক্তি পাব।’

ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০০৬ সালে জোর করে পিন্টু দেবীর বিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বয়কটের হুমকি দিতেন। এতদিন শ্বশুরবাড়িতে থাকতে বাধ্য হলেও, এখন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর আর সেখানে থাকতে নারাজ এই তরুণী। এই সংস্থা ৩৬ জন দম্পতির বাল্যবিবাহ বাতিল করার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। এখন পিন্টু দেবীকেও সাহায্য করছে।