নয়াদিল্লি: রেলমন্ত্রকের যাত্রীদের ম্যাসাজ পরিষেবা দেওয়ার প্রস্তাবে আপত্তি বিজেপি সাংসদের। ইন্দোরের দলীয় সাংসদ শঙ্কর লালওয়ানি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে চিঠি লিখে এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন।
গত ৮ জুন জনৈক রেলমন্ত্রকের কর্তা জানান, ইন্দোর থেকে রওনা দেওয়া ৩৯টি ট্রেনেই আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীরা চাইলে ম্যাসাজ পরিষেবা পাবেন। তাঁরা এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পশ্চিম রেলওয়ে জোনের রতলম ডিভিশনই এই পরিষেবা দেওয়ার ভাবনা প্রথম পেশ করে বলে জানান মন্ত্রকের এক অফিসার। রেলমন্ত্রকের লক্ষ্য বছরে বাড়তি ২০ লক্ষ টাকা আয় করা। পাশাপাশি প্রায় ২০ হাজার যাত্রী এই পরিষেবা নিতে ইচ্ছুক হবে ধরে নিয়ে বাড়তি টিকিট বেচে বছরে আনুমানিক ৯০ লক্ষ টাকা আয় বাড়ানোও উদ্দেশ্য তাদের। কিন্তু লালওয়ানি চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন, মহিলাদের সামনে এধরনের পরিষেবার আয়োজন করা কি ভারতীয় সংস্কৃতি, রীতি-নীতির সঙ্গে মানানসই। এধরনের নীতিহীন পরিষেবা নয়, যাত্রীদের মেডিকেল পরিষেবা দেওয়া, ডাক্তারের বন্দোবস্ত করাই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার অভিমত।
গোল্ড, ডায়মন্ড ও প্ল্যাটিনাম, এই তিন রকমের পরিষেবা দেওয়া রেলমন্ত্রকের প্ল্যান। গোল্ড স্কিমে ১০০ টাকায় অলিভ অয়েল বা যে কোনও আঠালো নয়, এমন তেলে মালিশ পাওয়া যাবে। ডায়মন্ড পরিষেবায় মিলবে ২০০ টাকায় যে কোনও দামী তেলের ম্যাসাজ। ৩০০ টাকায় ক্রিম দিয়ে মালিশ পাওয়া যাবে প্ল্যাটিনাম প্যাকেজে। প্রতিটি পরিষেবায় পাওয়া যাবে ১৫-২০ মিনিটের মালিশ।
লালওয়ানি গয়ালকে চিঠিতে লিখেছেন, ট্যুরিস্ট ট্রেনে বা এমনকী শতাব্দী ও রাজধানী ট্রেনে এ ধরনের পরিষেবার ব্যবস্থা হলে না হয় বুঝতাম, কিন্তু রেলের পরিকল্পনামাফিক সাধারণ যাত্রী ট্রেনে নয়। প্যাসেঞ্জার ট্রেনে কে ম্যাসাজ নিতে আসে? সাধারণ যাত্রীরা গরিব মানুষ, ওদের রেলযাত্রাও বড় জোর তিন-চার ঘন্টার। সেখানে কার মালিশের দরকার হয়? এটা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হয়, অনেক মহিলা সংগঠনও এ ব্যাপারে আপত্তি করেছে।
রেলমন্ত্রক থেকে সব জোন ও ডিভিশনকে বলা হয়েছে, নতুন নতুন ভাবনা, উদ্ভাবনামূলক প্রস্তাব দিন যার মাধ্যমে রেলের যাত্রীভাড়া-বহির্ভূত আয়বৃদ্ধি হতে পারে। তারই আওতায় যাত্রীদের মালিশ পরিষেবার পরিকল্পনা।