লখনউ: বিজেপি ও আরএসএস-কে জাতভিত্তিক সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে গেরুয়া শিবিরকে তাদের আয়ের উৎস প্রকাশ করার চ্যালেঞ্জ দিলেন মায়াবতী।
এদিন বিএসপি সুপ্রিমো বলেন, বিজেপি ও আরএসএস হল জাতভিত্তিক সংগঠন যারা চায় না সমাজের বঞ্চিত শ্রেণিভুক্ত মানুষের শিক্ষা ও ব্যবসায় অগ্রগতি হোক। গতকালই, ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের একটি বাণিজ্যিক জমির জন্য মায়াবতীর ভাই ও তাঁর স্ত্রীকে নোটিস ধরিয়েছে আয়কর দফতর। পরের দিনই কেন্দ্রের শাসক দলকে নিশানা করলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি, ওই ভাইকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করেছেন মায়াবতী। এদিন নেত্রী দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দলের সভাপতি অমিত শাহের নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা দখলের পর থেকে বিজেপি কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছে।  তিনি প্রশ্ন করেন, কোথা থেকে এত টাকা এল? কেন বিজেপি ও আরএসএস নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলসা করতে ভয় পাচ্ছে? এই বিপুল অর্থ কি বিজেপির বেনামী সম্পত্তি নয়?
মায়াবতী বলেন, নিজেদের (বিজেপির) লোক যদি ধনী হয়, তাহলে কোনও সমস্যা নেই। অথচ, সমাজের বঞ্চিত শ্রেণির অগ্রসর হওয়া, বিশেষ করে শিক্ষা ও ব্যবসা ক্ষেত্রে-- এসব সহ্য করতে পারে না শাসক দল। তাঁর আরও অভিযোগ, ক্ষমতা ও সরকারি মেশানারিকে কাজে লাগিয়ে জাতভিত্তিক শত্রুতা করছে বিজেপি।
বিএসপি সুপ্রিমো জানান, লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির অ্যাকাউন্টে ২০০০ কোটি টাকা ছিল। সেই টাকার উৎস খোলসা করেনি তারা। তিনি বলেন, কে টাকা দিল, তা পরিষ্কার নয়। সকলেই ওই টাকার উৎস জানতে চাইছেন। তাঁর অভিযোগ, ওই টাকা দিয়ে ভোটের সময় গরিব ও বঞ্চিতদের প্রভাবিত করেছে বিজেপি।
মায়াবতীর তোপ, বিজেপির উচিৎ আত্মসমালোচনা করা। যদি তারা নিজেদের রাজা হরিশ্চন্দ্র মনে করে থাকে, তাহলে নিজেদের লোকেদের বিপুল সম্পত্তির তদন্ত করে দেখাক। পরে রাজনীতি করুক।