লখনউ: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে একটি সরকারি বাংলো ছেড়ে দিলেন বসপা নেত্রী মায়াবতী। যদিও অন্য বাংলোটি ধরে রেখেছেন। বসপার বক্তব্য, ওই বাংলোয় তাদের প্রতিষ্ঠাতা কাঁসিরামের নামে একটি সংগ্রহশালা হয়েছে।


৭ তারিখ সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দেশে বলে, অফিস ছাড়ার পর উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা সরকারি ভবনের দখল রাখতে পারবেন না। এরপর ১৭ তারিখ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ দত্ত তেওয়ারি, মুলায়ম সিংহ যাদব, কল্যাণ সিংহ, মায়াবতী, রাজনাথ সিংহ ও অখিলেশ যাদবের প্রতি নোটিশ জারি করে উত্তর প্রদেশ সরকার জানিয়ে দেয়, তাঁদের দখলে থাকা সরকারি বাংলোগুলি চটপট খালি করে দিতে হবে।

কিন্তু বসপা দাবি করে, মায়াবতীকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে ভুল বাংলোর জন্য। তাঁর কাছ থেকে ফেরত চাওয়া হয়েছে ১৩এ, মল অ্যাভেনিউয়ের বাংলোটি, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী মার্গেরটি নয়, যেটি তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছিলেন। প্রথমটি তাঁর পক্ষে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ তাতে কাঁসিরামের নামে সংগ্রহশালা হয়েছে। তবে লখনউয়ের ৬, লালবাহাদুর শাস্ত্রী মার্গের বাংলোটি খালি করে দিয়েছেন তিনি।

এর মধ্যে বসপার একটি প্রতিনিধিদল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করে বলে, ২০১১ সালেই মল অ্যাভেনিউয়ের বাংলোয় সংগ্রহশালা তৈরি হয়েছে, মায়ার দখলে রয়েছে শুধু দুটি ঘর। আর এ মাসে বাংলো খালি করার নোটিশ পাওয়ার পর তারা তড়িঘড়ি বাংলোর সামনে বোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে, তাতে লেখা, শ্রী কাঁসিরামজি ইয়াদগার বিশ্রামস্থল।

তবে মায়াবতী না ছাড়লেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও রাজস্থানের রাজ্যপাল কল্যাণ সিংহ জানিয়েছেন, বাংলো খালি করে দেবেন তাঁরা। যদিও নারায়ণ দত্ত তেওয়ারি, মুলায়স সিংহ যাদব ও অখিলেশ যাদব এখনই বাংলো ছাড়তে রাজি নন। মুলায়ম-অখিলেশ তো এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন।