নয়াদিল্লি: দিল্লি পুরসভার নির্বাচনের ফলাফলেও গেরুয়া ঝড়। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লির তিনটি পুরবোর্ড ফের গড়তে চলেছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বিজেপির বিপুল জয়ের ধারা অব্যাহত থাকল। অন্যদিকে, ২০১৫-র বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের দু বছরের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ল আম আদমি পার্টি (আপ)। কিছুদিন আগেই রাজৌরি গার্ডেন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল আপের। এবার পুর নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পরও হার মানতে প্রস্তুত নয় আপ। তারা এই ফলাফলের জন্য দুষল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-কে। দিল্লি সরকারের শ্রমমন্ত্রী তথা আপের অন্যতম শীর্ষ নেতা গোপাল রাই বলেছেন, দিল্লির এই ফলাফল ‘মোদী-ঢেউ নয়, ইভিএম-ঢেউ’।
ভোট গণনার প্রাথমিক প্রবণতা প্রকাশ্যে আসার পরই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়া সহ আপের প্রথমসারির নেতারা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বাড়িতে বৈঠকে বসেন। তাঁর দাবি, দিল্লির এই ফলাফল ও ভোটে বিজেপির যে সাফল্য এসেছে তা ইভিএম-ঢেউয়ের মাধ্যমেই সম্ভব। তাঁর অভিযোগ, ইভিএমের মাধ্যমে বিজেপি দেশে একনায়কতন্ত্র আনতে চাইছে। উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের ঢেউ বিজেপি দিল্লিতেও পুনরাবৃত্তি করেছে।
গোপাল রাই আরও বলেছেন, আপ ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখবে। কিন্তু দেশকে কীভাবে বাঁচানো যায় সে বিষয়েও বিবেচনা করতে হবে।
আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতা আশুতোষেরও দাবি, ইভিএমে কারচুপি করেই বিজেপি এই জয় পেয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রশ্নবাণের উত্তর দিতে দিয়ে সাংবাদিকদেরই পাল্টা প্রশ্ন করেন যে, গত ১০ বছরে বিজেপি এমন কী কাজ করেছে যাতে মানুষ ওই দলকে এত ভোট দিয়েছে।  তিনি জানিয়েছেন, কেজরীবাল মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন না।
উল্লেখ্য, ভোটের আগেই থেকেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছিল আপ।