নয়াদিল্লি: প্রয়াত হলেন এমডিএইচ (MDH) মশলা সংস্থার মালিক ধর্মপাল গুলাটি (Dharampal Gulati)। বয়স হয়েছিল ৯৮। মাথায় উজ্জ্বল লাল পাগড়ি ও সাদা গোঁফ, ‘অসলি মশালে সচ সচ’ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গোটা দেশ চিনেছিল এমডিএইচ দাদাজিকে।
একসময় স্কুলের গণ্ডিও টপকানো হয়নি যার সেই ধর্মপাল হয়ে উঠেছিলেন দেশের মশলা সম্রাট। এফএমসিজি সেক্টরে সবথেকে বেশি বেতনভুক সিইও-ও হয়ে উঠেছিলেন পদ্মভূষণ ধর্মপাল।
২০১৭ সালে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই সময়ে ৯৪ বছরের ধর্মপাল পেতেন ২১ কোটি পারিশ্রমিক। যা ছিল আদি গোদরেজ, বা আইটিসি-র ওয়াই সি দেবেশ্বরদের থেকেও বেশি। কোনও সংস্থার সবথেকে বেশি বয়সী সিইও ছিলেন তিনি।
তবে বেতনের প্রায় ৯০ শতাংশই দান করে দিতেন তিনি। দিল্লি এনসিআরে একাধিক হাসপাতাল ও স্কুল চলে এমডিএইচ সংস্থার সাহায্যে। যে খাতেই তাঁর বেতন দিতেন ধর্মপাল গুলাটি।
১৯২৩ সালে বর্তমানে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত শিয়ালকোটে জন্মগ্রহণ করেন মশলা সম্রাট। যখন তিনি ক্লাস ফাইবে পড়েন, সেই সময়ই ছেড়ে দিয়েছিলেন স্কুলের প্রথাগত পঠন-পাঠন। পড়াশোনা ছেড়ে বাবা চুন্নি লাল গুলাটিকে মশলার ব্যবসায় সাহায্য করতে পাড়ি জমিয়েছিলেন দিল্লিতে।
বাবা যে মশলা সংস্থা স্থাপন করেছিলেন তাই ধর্মপালের হাত ধরে হয়ে উঠেছিল কোটি-কোটি টাকার ব্যবসা। কারোল বাঘ ও চাঁদনি চকে দুটো ছোট দোকান থেকে ব্যবসা শুরু করে এইডিএইচ মশলাকে একশোর বেশি দেশে পৌঁছে দিয়েছিলেন ধর্মপাল গুলাটি।
ভারতের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি দুবাইতে খুলেছিলেন সংস্থার অফিস। বর্তমানে প্রত্যেক দিন ৩০ টন মশলা প্রযুক্তিকরণের ক্ষমতা রাখে এমডিএইচ সংস্থা।
MDH Owner Passes Away: স্কুলছুট থেকে মশলা-সম্রাট, চলে গেলেন দাদাজি ধর্মপাল
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
03 Dec 2020 10:10 AM (IST)
বেতনের প্রায় ৯০ শতাংশই দান করে দিতেন তিনি। দিল্লি এনসিআরে একাধিক হাসপাতাল ও স্কুল চলে এমডিএইচ সংস্থার সাহায্যে। যে খাতেই তাঁর বেতন দিতেন ধর্মপাল গুলাটি।
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -