ইন্দোর: গীতাকে মনে আছে? ২০১৫ সালে পাকিস্তান যে  বোবা কালা মেয়েটিকে ভারতে ফেরত পাঠিয়েছিল, সেই গীতার এখন বিয়ের কথা হচ্ছে। আর তাঁর বিয়ে নিয়ে কে মাথা ঘামাচ্ছে জানেন? খোদ বিদেশ মন্ত্রক।

গীতার বয়স যখন ৭-৮ বছর, তখন তাঁকে উদ্ধার করা হয় লাহোরে, সমঝোতা এক্সপ্রেসের এক ফাঁকা কামরায়। তারপর থেকে পাকিস্তানই ছিল তাঁর ঠিকানা। বছর তিনেক আগে দুদেশের সরকারের বোঝাপড়ার ভিত্তিতে গীতাকে দেশে ফেরত পাঠায় পাকিস্তান। কিন্তু তাঁর বাবা মায়ের খোঁজ মেলেনি। এখনও পর্যন্ত দেশের নানা জায়গার দশেরও বেশি দম্পতি দাবি করেছেন, গীতা তাঁদের মেয়ে কিন্তু দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ  দিতে পারেননি কেউ।

ফলে গীতা এখন থাকেন মধ্য প্রদেশের ইন্দোরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তত্ত্বাবধানে। জ্ঞানেন্দ্র পুরোহিত নামে এক সমাজকর্মী ১০ এপ্রিল ফেসবুকে তাঁর পাত্র চেয়ে পোস্ট করেন, বলেন, ভাল, বুদ্ধিমান, শ্রবণশক্তিহীন পাত্র চাই, বয়স হতে হবে ২৫-এর বেশি।

এতে নাকি ব্যাপক সাড়া মিলেছে, ৫০ জন যুবক বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে থেকে ঝাড়াই বাছাই করে ২৫ জনকে চূড়ান্ত করেছে বিদেশ মন্ত্রক। এবার তারা ইন্দোর প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, গীতার সঙ্গে এই ২৫ জনের দেখা করিয়ে দিতে, যাতে তিনি নিজের ভাবী স্বামী পছন্দমত বেছে নিতে পারেন।

ওই ২৫ জনের বায়োডেটা ও ছবি দেখানো হবে গীতাকে। হবে দেখা সাক্ষাৎ। তারপর জানা যাবে, কাকে তাঁর মনে ধরল।