রবিবার দুপুরে ওই শিশুর বাড়ির সামনে পাক বাহিনীর ছোঁড়া শেল আছড়ে পড়ে ফাটলে সে, তার মা আহত হয়। পরে পুঞ্চের এক হাসপাতালে বাচ্চাটি মারা যায়।
এই নিয়ে তৃতীয়বার পাক বাহিনীর হামলায় মৃত্যু হল বলে জানিয়েছেন শাহপুরের সরপঞ্চ। আধ ডজন লোক জখম হয়েছে।
বুধবারও পাকিস্তান সেনাবাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে নিয়্ন্ত্রণ রেখা বরাবর গুলি চালায়, মর্টার ছোঁড়ে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীও যোগ্য জবাব দিলে পাক সেনার ঘাঁটিগুলির বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদের জওয়ানরাও নিহত হয়েছে বলে সরকারি সূ্ত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে পাকিস্তান ইসলামাবাদে ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় সেনার ‘বিনা প্ররোচনায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে’র নিন্দা করেছে। পাক বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডিরেক্টর জেনারেল (দক্ষিণ এশিয়া ও সার্ক) মহম্মদ ফয়সল, যিনি বিদেশমন্ত্রকের মুখপত্রও বটে, গৌরব অহলুওয়ালিয়াকে ডেকে পাঠিয়ে প্রতিবাদ জানান। পাকিস্তানের দাবি, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দান্না, ধাদনিয়াল, জুরা, লিপা, শ্রড্ডা, শাহকোটে ভারতীয় বাহিনীর গুলিবৃষ্টিতে ২৬ বছরের এক যুবক নিহত ও বাচ্চা, মহিলা সহ ৯ জন জখম হয়। ফয়সল বলেন, ভারতীয় বাহিনী নিয়্ন্ত্রণ রেখা, অস্থায়ী সীমান্ত বরাবর লাগাতার সাধারণ বাসিন্দাদের বাড়িঘর নিশানা করে ভারী অস্ত্রশস্ত্র থেকে হামলা চালাচ্ছে। ২০১৭ থেকে ভারতের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অপ্রত্যাশিত ভাবে বেড়েছে, সে বছর ভারতীয় বাহিনী ১৯৭০ বার যু্দ্ধবিরতি ভেঙেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ভারতের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতার সামনে বিপদ, তা থেকে কৌশলগত হিসাবে ভুল হতে পারে। ২০০৩ সালে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনাগুলি তদন্ত করতে ভারতকে আবেদন করেন তিনি।