কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, বিদেশমন্ত্রী সারাদিন বসে শুধু টুইট করেন, বিদেশ নীতি ঠিক করে প্রধানমন্ত্রীর অফিস। বিদেশ মন্ত্রকের ব্যর্থতার কারণেই ডোকলামে চিন বেকায়দায় ফেলেছে ভারতকে, ওদিকে বরাবরের সঙ্গী রাশিয়া ঝুঁকে পড়েছে পাকিস্তানের দিকে।
যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করে সুষমা বলেছেন, তাঁদের আমলে বিদেশ মন্ত্রকে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। যাদের মধ্যে সংবেদনশীলতার অভাব, তারা এটা নিয়ে ঠাট্টা করতে পারে। কিন্তু যে ভারতীয়রা বিদেশে আটকে পড়েছিলেন, তাঁদের দিজ্ঞেস করুন। কংগ্রেস তখনই বুঝবে, যখন তাদের আপন কারও এমন অবস্থা হবে।
সুষমার বক্তব্য, বিদেশমন্ত্রী হিসেবে তিনি যদি কিছু না-ই করে থাকেন, তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার সাধ্যও তাঁর হত না। ডোকলাম কাণ্ডে এক সময় মনে হচ্ছিল, যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু ভারত যেভাবে আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে গোটা পরিস্থিতি সামলেছে, তা আন্তর্জাতিক দুনিয়ার প্রশংসা কুড়িয়েছে। ডোকলামে স্থিতাবস্থা বজায় রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। রাশিয়া পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগও খারিজ করেছেন সুষমা।
যেভাবে বিদেশ মন্ত্রক বিদেশ বিভুঁইয়ে আটকে পড়া ভারতীয়দের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, তা আগে কখনও দেখা যায়নি। তিনি নিজেও ঘুমোন না, ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদেরও ঘুমোতে দেন না। হালকা মেজাজে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।