বেঙ্গালুরু: ভি কে শশীকলার সময়টা সত্যিই খারাপ যাচ্ছে। একে তো তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হতে হতেও হওয়া হল না। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। জেলে প্রথম শ্রেণির সুযোগ-সুবিধা চেয়েও পাননি। প্রার্থনা ও যোগাসনের জন্য আলাদা ঘর, অ্যাটাচ বাথরুম, বাড়ির খাবার, গরম জলের আবদার খারিজ হয়ে গিয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ভয়ঙ্কর প্রতিবেশী। শশীকলার পাশের সেলেই আছেন ভারতের প্রথম মহিলা সিরিয়াল কিলার কে ডি কেম্পাম্মা। যিনি ‘সায়নাইড মল্লিকা’ নামে কুখ্যাত।


৪৬ বছর বয়সি কেম্পাম্মা ৬টি খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত। তার অপরাধে হাতেখড়ি ছোটখাটো চুরির মাধ্যমে। জীবনের শুরুতে পরিচারিকার কাজ করার সময় চুরি করত সে। ১৯৯৯ সালে প্রথম খুন করে। পরে আরও পাঁচটি খুন করে। কেম্পাম্মা যাঁদের খুন করেছে, তাঁরা প্রত্যেকেই মহিলা। মন্দিরে তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় কেম্পাম্মার। সোনার গয়নার লোভে তাঁদের বিষ খাইয়ে খুন করে কেম্পাম্মা। ২০০৬ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১০ সালে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয় আদালত। তবে দু বছর পরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সাজাই এখন ভোগ করছে কেম্পাম্মা।

এই সিরিয়াল কিলার আবার জয়ললিতার ভক্ত। ২০১৪ সালে যখন বেঙ্গালুরুর এই জেলেই ছিলেন জয়ললিতা, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিল কেম্পাম্মা। সেই চেষ্টা সফল না হলেও, এবার জয়ললিতার ছায়াসঙ্গী শশীকলার সঙ্গে দেখা হল কেম্পাম্মার।