নয়াদিল্লি: তাজমহল সম্পর্কে উত্তরপ্রদেশের দলীয় বিধায়ক সঙ্গীত সোমের বিতর্কিত মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া না দিয়ে উল্টে ভারতে মুসলিম শাসনেরই তীব্র সমালোচনা করল বিজেপি।


ভারতের ইতিহাসে তাজমহলের স্থান কোথায়, সেই প্রশ্ন তুলে সপ্তদশ শতাব্দীর এই অমর শিল্পকীর্তিকে 'কলঙ্ক' আখ্যা দিয়েছেন ওই বিজেপি এমএল এ, 'দুর্ভাগ্যজনক'ও বলেছেন। ভারতের ইতিহাস থেকে মুঘল সম্রাটদের কথা বাদ দিয়ে তা নতুন করে লেখা হবে বলেও জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে বিজেপি মুখপাত্র জি ভি এল নরসিমহা রাও বিশেষ বিশেষ স্মৃতিসৌধের ব্যাপারে তাঁদের দলের নির্দিষ্ট কোনও মত নেই এবং দলীয় নেতা, কর্মীরা নিজের নিজের মতো ধারণা পোষণ করতে পারেন বলে জানিয়ে দেন।

সেইসঙ্গে বলেন, এ দেশে মুসলিম, মুঘল শাসন সম্পর্কে এটাই বলার যে, ওই সময়টাকে শুধুমাত্র বর্বরোচিত, শোষণমূলক, অত্যাচারের পর্ব হিসাবেই দেখা যেতে পারে। ওই শাসনকাল হল নজিরবিহীন অসহনশীলতার অধ্যায় যা ভারতীয় সভ্যতা, ঐতিহ্যের বিরাট ক্ষতি করেছে।

সারদানার বিধায়ক সঙ্গীত তাজমহলকে কটাক্ষ করে এও বলেন, এমন এক মুঘল সম্রাট এর নির্মাতা যিনি নিজের বাবাকে বন্দি করেছিলেন, নিশানা করেছিলেন হিন্দুদের!

প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের পর্যটনের দ্রষ্টব্য স্থানগুলির সরকারি বুকলেট থেকে তাজমহলকে বাদ দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে নানা মহল।

সে ব্যাপারেই সঙ্গীতের মন্তব্য, অনেকেই নাকি দ্রষ্টব্য স্থানের তালিকা থেকে তাজমহলকে সরানো হয়েছে দেখে দুঃখিত। কিন্তু এটা কোন ইতিহাস? তা কি এই যে, তাজমহল বানিয়েছেন যিনি, তিনি নিজের বাবাকে বন্দি করেছিলেন? ইতিহাস কি এটাই যে, তিনি উত্তরপ্রদেশ, হিন্দুস্তানের অনেক হিন্দুকে টার্গেট করেছিলেন?

এদিকে বিজেপি মুখপাত্র এআইএমআইএম নেতা তথা সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়েইসিরও নিন্দা করেন, সঙ্গীতের মন্তব্যের বিরোধিতা করায়। ওয়েইসি প্রশ্ন তোলেন, তবে কি সরকার পর্যটকদের তাজমহল দেখতে যেতে নিষেধ করবে। পাল্টা রাওয়ের মন্তব্য, মুসলিম শাসকরা এককালে যে অসহিষ্ণুতা দেখাতেন, বর্তমান কালেও তা ফুটে উঠছে ওয়েউসির মতো মুসলিম নেতাদের কথাবার্তায়।