নয়াদিল্লি: ভারতের আইন অনুযায়ী মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদেরও কি ধর্ষিত বলে গণ্য করা যায়? এক জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এ বিষয়ে জবাব চাইল দিল্লি হাইকোর্ট। কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তল ও বিচারপতি সি হরিশঙ্কর সরকারকে নোটিস দিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়েছেন। ২৩ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ও ৩৭৬ ধারাকে পুরুষদের প্রতি বৈষম্যমূলক বলে দাবি করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যক্তি। তিনি বলেছেন, বর্তমান আইনে শুধু পুরুষদেরই ধর্ষক এবং মহিলাদের ধর্ষণের শিকার বলে ধরা হয়। কিন্তু সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাই আইনের চোখে পুরুষ ও নারী সমান হওয়া উচিত।

এই জনস্বার্থ মামলায় আরও বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে লিঙ্গ নিরপেক্ষ ধর্ষণ আইন চালু করা হয়েছিল। কিন্তু সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রতিবাদের জেরে মাত্র ৫৮ দিন পরেই এই আইন বাতিল করা হয়। অথচ সম্প্রতি গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে একটি সাত বছরের ছেলেকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল ৪২ বছরের এক ব্যক্তি। ১৮ বছরের কম বয়সি ছেলেরা পকসো আইনের আওতায় থাকে। কিন্তু সাবালক হয়ে গেলেই তাদের সুরক্ষার জন্য আর কোনও আইন নেই। এটা বৈষম্যমূলক নীতি। এর বদল হওয়া উচিত।