নয়াদিল্লি: অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভারত শাখার বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে গত শনিবার কাশ্মীর নিয়ে এক অনুষ্ঠানে ভারত-বিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলা রুজু হওয়ার পর এবার তাদের কারা অর্থ দেয়, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তারা কীসে অর্থ খরচ করে থাকে, তদন্তে দেখা হবে সেটাও। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জনৈক অফিসার বলেছেন, বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনের (এফসিআরএ) আওতায় তদন্ত করা হচ্ছে। অ্যামেনেস্টির ভারত শাখা ওই আইনের কোনও ধারা ভেঙেছে কিনা, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


জানা গিয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন বিরোধী আন্দোলনের শীর্ষ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির ভারত শাখা এফসিআরএ আইনে নথিভুক্ত নয়। তারা এফসিআরএ আইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে আবেদন করেছে, তা বেঙ্গালুরুর ঘটনার পর গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারী দলটি পরীক্ষা করে দেখছে, অ্যামেনেস্টি বাইরের কোনও দেশ থেকে অর্থ পেয়েছ কিনা, পেয়ে থাকলে কোন আইনে পেয়েছে। তাদের তহবিলের অন্য উত্সগুলি কী, কী খাতে, কীভাবে অর্থ ব্যয় করেছে তারা, সবই তদন্তের আওতায় আসছে।



এদিকে অ্যামেনেস্টি এদিন এক বিবৃতিতে বেঙ্গালুরুর অনুষ্ঠানে ভারত-বিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ খারিজ করল। তাদের বিরুদ্ধে বিজেপি-আরএসএস শিবিরের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র তোলা এই অভিযোগের কোনও সারবত্তাই নেই বলে জানিয়েছে তারা। অ্যামেনেস্টির দাবি, সেদিন তাদের কোনও কর্মী ভারত-বিরোধী স্লোগান দেয়নি।

এবিভিপি গতকাল সেদিনের ঘটনার একটি ভিডিও পুলিশকে দিয়েছে। সেটির ভিত্তিতেই অ্যামেনেস্টির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির নানা ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। সেদিন কারা কাশ্মীরের স্বাধীনতার পক্ষে, ভারত-বিরোধী স্লোগান দিয়েছিল, তাদের চিহ্নিত করতে ভিডিওটি ও ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। এবিভিপি কর্মীরা আজ অ্যামেনেস্টির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়।