নয়াদিল্লি: তিহার জেলে কাশ্মীরী বন্দিদের জড়িয়ে ধস্তাধস্তি, তাদের নিগ্রহের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলের ডিরেক্টর জেনারেলকে যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট দিতে বলল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এ পর্যন্ত কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এ ব্যাপারে, রিপোর্টে তাও জানাতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন কাশ্মীরী বন্দির জখম হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দিল্লির লেফটেন্যান্ট অনিল বাইজলকে অনুরোধ করেছে যাতে তিনি হাই সিকিউরিটি কারাগারের নিরাপত্তার আয়োজন খতিয়ে দেখে যেখানে যেখানে দরকার, সেখানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
সরকারি সূত্রের খবর, প্রাথমিক তথ্যে প্রকাশ, তিহারের তিন বন্দির কাছে আপত্তিকর জিনিসপত্র রয়েছে দেখে জেল কর্তৃপক্ষ সেগুলি নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বন্দিরা বাধা দেয়, বলপ্রয়োগ করে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। যদিও ধস্তাধস্তিতে জড়িত বন্দিদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি বলে সূত্রটি জানিয়েছে। তবে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক মদতের মামলায় তিহার জেলে বন্দি কাশ্মীরের হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাহুদ্দিনের ছেলে সৈয়দ শাহিদ ইউসুফের চোট, আঘাতের কোনও খবর নেই।
এ ব্যাপারে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সঈদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গাইবাকে ফোন করে খবর নিয়েছেন কিনা, জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রকের জনৈক অফিসার জানান, স্বরাষ্ট্রসচিবের সাংবিধানিক পদাধিকারীদের সঙ্গে আলোচনা একেবারেই গোপন থাকার ব্যাপার। মন্ত্রকের পক্ষে তা স্বীকার বা অস্বীকার করার সুযোগ থাকে না।
এর আগে শ্রীনগর থেকে খবর শোনা গিয়েছিল যে, তিহার জেলে কাশ্মীরী বন্দিদের মারধরের খবর, ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর মেহবুবা নাকি গাউবার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন, ওদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বলেন তাঁকে। মেহবুবা এক বিবৃতিতে বলেন, কারাগার সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা বলেই ধরা যায়। কিন্তু যা ঘটেছে বলে শোনা যাচ্ছে, তাতে এ নিয়ে সংশয়, প্রশ্ন উঠছে।