প্রতিবাদস্থলের একটি ছবি পোস্ট করে তার ক্যাপশনে তিনি এমন ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি লোক হাতে একটি প্ল্য়াকার্ড ধরে রয়েছে, যাতে লেখা কৃষক হত্যা বন্ধ করো। যদিও ভারত সরকার খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক পরিচিতিসম্পন্ন এমন ব্যক্তিত্বদের অভিমত খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছে, এঁরা সেনসেশন ছড়াচ্ছেন অর্থাত্ অযথা শোরগোল তুলছেন।
মিয়ার আগে আন্তর্জাতিক পপ তারকা রিহানা, পরিবেশবাদী কর্মী প্রতিবাদী স্বভাবে মেয়ে বলে পরিচিত থুনবার্গও ট্যুইট করেন আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থন জানিয়ে। গতকালের ট্যুইটে উভয়েই কৃষকদের প্রতিবাদস্থলের খবরের ক্লিপিং শেয়ার করেন। রিহানার ট্যুইটটি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে, যাতে তিনি লিখেছেন, কেন আমরা এ নিয়ে কথা বলছি না?! কৃষক আন্দোলন। দু লাখের ওপর রিট্যুইট হয় সেটি। আর থুনবার্গ লেখেন, ভারতে #কৃষক আন্দোলনের প্রতি আমাদের সমর্থন, সহমর্মিতা জানাই।
তবে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। বিদেশি তারকাদের কৃষক আন্দোলন সমর্থন করায় উল্টে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছেন।
দু মাসেরও ওপর হয়ে গেল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা তিনটি কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির একাধিক সীমান্ত অবরোধ করে বসে আছেন। প্রজাতন্ত্র দিবসে পূর্ব নির্ধারিত রুটে ট্রাক্টর মিছিল না বের করে তাঁরা দিল্লির ভিতরে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। লালকেল্লায় ঢুকে পড়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা তোলার খুঁটিতে নিজেদের নিশানা লাগিয়ে দেন। আইটিও-তে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। লাঠি, কাঁদানে গ্যাস চলে। দিনকয়েক আগে লালকেল্লার ঘটনা দেশের কাছে দুঃখের, বেদনাদায়ক বলে তার নিন্দা করেন।
কেন্দ্র কৃষকদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা আলোচনার পরও সমাধানসূত্র বেরয়নি। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, কেন্দ্র আন্তরিক নয়।