ভোপাল: বন্ধ জীবিকা, বন্ধ যানবাহন! লকডাউনে বাড়ি ফিরতে মরিয়া পরিযায়ী শ্রমিকেরা! হাইওয়ে থেকে রেললাইন, পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে প্রায় রোজই প্রাণ হারাচ্ছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। এ বার মধ্যপ্রদেশে উঠে এল পরিয়াযী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার এক করুণ ছবি। ৭০০ কিলোমিটার হেঁটে হায়দরাবাদ থেকে বাড়ি ফিরলেন এক পরিয়াযী। শুধু তাই নয়, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও তাঁদের একরত্তি সন্তানকে ঠেলা গাড়িতে বসিয়ে টেনে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন শ্রমিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকের এই ভিডিওটি।

রামু ঘোরমারে নামে ওই পরিযায়ী শ্রমিক জানান, ফুরিয়ে এসেছিল টাকা, ছিল না খাবার। জীবিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফিরে আসা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না তাঁর। সঙ্গে ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ছোট্ট ছেলে। ৭০০ কিলোমিটার পথের জন্য ব্যবস্থা হয়নি কোনও যানবাহনেরও। অতটা পথ হাঁটা সম্ভব ছিল না স্ত্রী-পুত্রের। তাই একটি কাঠের ছোট্ট ঠেলা গাড়ি তৈরি করে তাতেই স্ত্রী-পুত্রকে বসিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

সূত্রের খবর, লকডাউনের কিছুদিন আগেই কাজের খোঁজে হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন ওই শ্রমিক। এরই মাঝে লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায়, অন্ন-বস্ত্রের সংস্থান করতে না-পেরে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিছু কাঠ জোগার করে একটি কাঠের ছোট ঠেলা গাড়ির মতো তৈরি করেন রামু। হায়দরাবাদ থেকে নিজের জেলা বালাঘাট পৌঁছতে তাঁর সময় লাগে ২ দিন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি সামনে এলেই ভাইরাল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ফের একবার এই ভিডিও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার ছবিটা।