শ্রীনগর: উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরার গুরেজ সেক্টরে নিয়্ন্ত্রণ রেখায় জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা বানচাল। সেনাবাহিনীর জনৈক অফিসার জানান, কাশ্মীর উপত্যকায় ঢুকে পড়ার জন্য সীমান্তে জঙ্গি তত্পরতা নজরে আসে নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাহারায় থাকা জওয়ানদের। তাঁরা চ্যালেঞ্জ করলে গুলি চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালান জওয়ানরাও। গুলির লড়াইয়ে খতম হয় এক জঙ্গি।


এই নিয়ে গত ৪ দিনে উত্তর কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় এনকাউন্টারে জঙ্গি মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪। তবে একটি সংঘর্ষের ঘটনায় এক সেনা জওয়ানও প্রাণ হারান।

বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, কুপওয়ারার মাচিল, নওগাম, বান্দিপোরার গুরেজ ও বারামুলার উরিতে পাকিস্তানি সেনারা সশস্ত্র জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে কাশ্মীরে ঢুকিয়ে দেওয়ার একাধিক চেষ্টা করে। তবে সেনার তত্পরতায় অনুপ্রবেশকারীরা সফল হয়নি। গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় সাত সন্ত্রাসবাদী।

সেনার নর্দার্ন কম্যান্ড বিবৃতি দিয়ে জানায়, চারটি অনুপ্রবেশের প্রয়াসেই পিছন থেকে মদত দেয় পাক সেনা। কামানের গোলা ছুঁড়ে ভারতীয় সেনাকে ব্যস্ত রেখে জঙ্গি ঢুকিয়ে দেওয়ার কৌশল নেয় তারা।

সব মিলিয়ে উত্তর কাশ্মীরে এক পক্ষকালের কম সময়ে আটটি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী।

এদিকে দেহরাদুনে সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেছেন, শান্তির পরিপন্থী শক্তিরা জম্মু ও কাশ্মীরের যুবকদের ভুল তথ্য দিয়ে বিপথে চালিত করছে। পাকিস্তান সোস্যাল মিডিয়ায় বিকৃত, জাল ভিডিও ছড়িয়ে কাশ্মীরী যুবকদের বিভ্রান্ত করছে, হিংসার রাস্তায় নামতে প্ররোচনা দিচ্ছে তাদের। আর কাশ্মীর উপত্যকার কিছু লোকও তাতে মদত দিচ্ছে। তারা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগ দেওয়া ছেলেদের মহান করে তুলছে, হিরো করে দেখাচ্ছে। সেনাবাহিনীকে এর মোকাবিলার উপায় খুঁজতে বলেছেন তিনি।

ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে কোর্স সমাপ্তির পর ৪৯০ জন জেন্টলম্যান ক্যাডেটের পাসিং আউট প্যারেড অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান তাঁর ভাষণে সন্ত্রাসবাদকে দেশের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলেও উল্লেখ করেন। তিনি নিজেও এই প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

তিনি বলেন, এই ক্যাডেটরা এখান থেকে পাওয়া শৌর্য, সামরিক দক্ষতা এবার দেশের সেবায় প্রয়োগ করুন। এই প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মানের সমতুল প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।