নয়াদিল্লি: সেনাবাহিনী প্রাপ্য অর্থ পাচ্ছে না, এ দেশে অনেকেই প্রতিরক্ষায় খরচ করাকে বোঝা বলে মনে করেন, ক্ষোভের সুরে বললেন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। চিনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী থাকলেই ভারতের কৌশলগত প্রভাব বাড়বে।

সেইসঙ্গে নানা ধরনের বিপদের সঠিক মোকাবিলার কথা মাথায় রেখে একটি জাতীয় সামরিক কৌশল ও নিরাপত্তা সংক্রান্তে ফ্রেমওয়ার্ক খুব শীঘ্রই স্থির হবে বলেও জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। এমন সময়ে দুটি বিষয় চূড়ান্ত হতে চলেছে যখন জম্মু ও কাশ্মীরে ক্রমবর্ধমান সীমান্ত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ঠেকাতে হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীকে।
এদিন সশস্ত্র বাহিনীর পিছনে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দের পক্ষে সওয়াল করে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত থিঙ্কট্যাঙ্কে দেওয়া ভাষণে সেনাপ্রধান চিনের দৃষ্টান্ত পেশ করেন। জানান, আর্থিক প্রগতি ও সামরিক বাহিনীর শক্তি একইসঙ্গে এগিয়ে গেলেই ভারতের আসল ক্ষমতা দেখা যাবে। তিনি বলেন, আমরা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছি বটে, কিন্তু সামরিক বাহিনী ন্যায্য গুরুত্ব পাচ্ছে না। চিনের থেকে আমাদের এ ব্যাপারে শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে মনে করি।
সেনাপ্রধান এও বলেন, দেশের পশ্চিম ও উত্তর সীমান্তে প্রতিবেশীদের মোকাবিলায় নতুন নতুন বন্ধুর খোঁজ করা উচিত দেশের। তিনি ইঙ্গিত করেন পাকিস্তান, চিনকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭-১৮ বর্ষে প্রতিরক্ষায় ভারতের বাজেট বরাদ্দ ২.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা, যা জিডিপি-র ১.৬৩ শতাংশ। সেখানে চিনের ২০১৭ সালে সামরিক খাতে খরচের পরিমান ১৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ওদের জিডিপির প্রায় ৩ শতাংশ, ভারতের বরাদ্দের তিন গুণ।
এই প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের অনেকের মত, এ দেশে সেনার আধুনিকীকরণের প্রক্রিয়া এগচ্ছে খুবই ধীর গতিতে, সরকার এজন্য পর্যাপ্ত অর্থ দিচ্ছে না।

রাষ্ট্রপুঞ্জে সব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ভারতের মত নেওয়ার সময় এসেছে বলেও সেনাপ্রধান অভিমত দেন। বলেন, যাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য়পদ পাওয়া যায়, সেজন্য জোর খাটতেও হবে ভারতকে।  নিরাপত্তা পরিষদে সম্মানজনক জায়গা পাওয়ার জন্য আমাদের নতুন জোট গড়তে হবে, নতুন বন্ধু খুঁজতে হবে।