নয়াদিল্লি: পণ্য পরিষেবা করের (জিএসটি) আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হল দুধ, শস্যদানাকে। ঘোষণা কেন্দ্রের।


কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নেতৃত্বে বসেছিল জিএসটি বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সব রাজ্যের প্রতিনিধিরা। দুদিনের বৈঠকের প্রথম দিনে মোট ৭টি নিয়মে শিলমোহর পড়ে। বাকি ২টি নিয়ম খতিয়ে দেখছে আইনি কমিটি।


সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮০-৯০ শতাংশ পণ্যকে বিভিন্ন কর-ক্যাটেগরিতে শ্রেণিভুক্তিকরণের কাজ শেষ এদিনই শেষ হয়ে গিয়েছে। রাজস্ব সচিব জানান, ১,২১১ টি পণ্যের মধ্যে ৬টি বাদ দিয়ে সবকটিকেই বিভিন্ন কর-শ্রেণিতে ফেলা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, জিএসটি-তে মোট চারস্তরীয় কর-শ্রেণির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেগুলি হল—৫, ১২, ১৮ ও ২৮ শতাংশ। যে জিনিসগুলির ব্যবহার আমজনতা বা নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা ব্যবহার করে থাকে, সেগুলি কম হারের শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, বিলাস-সামগ্রীকে সর্বোচ্চ কর-স্তরে রাখা হয়েছে।


এদিন রাজস্ব সচিব জানান, খাদ্যশস্য ও দুধকে এই কর-ব্যবস্থা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, খাদ্যশস্য ও দুধের ক্ষেত্রে জিএসটি লাগু হবে না। ফলে, আগামীদিনে এই দুটিরই দাম কমবে।  দুধের মতো দইও কর-আওতার থেকে মুক্ত হবে। তবে, দুগ্ধজাত মিষ্টির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কর চাপানো হবে।


বর্তমানে খাদ্যশস্যের ওপর ৫ শতাংশ কর চাপানো হয়। কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী, চাল ও গম সমেত শস্যদানা কর আওতার বাইরে থাকবে। তবে, প্যাকেটজাত শস্যদানার ক্ষেত্রে পৃথকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


তিনি এ-ও জানান, কয়লাকে ৫ শতাংশের স্তরে রাখা হয়েছে। কয়লার ওপর এতদিন ১১.৬৯ শতাংশ কর চাপানো হত। তিনি আশা করেন, এর ফলে, কয়লার দাম অনেকটাই কমবে।


পাশাপাশি, চিনি, চা, কফি ও ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রেও করের হার হবে ৫ শতাংশ। অন্যদিকে, চুলের তেল, সাবান, মাজনের ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ কর ধার্য করা হবে। বর্তমানে এই দ্রব্যের ওপর ২২-২৪ শতাংশ কর চাপে। এছাড়া, জীবনদায়ী ওষুধকে ৫ শতাংশে রাখা হবে।


জানা গিয়েছে, মোট পণ্যসামগ্রীর ৭ শতাংশ কর আওতা থেকে মুক্ত হবে। ১৪ শতাংশ সামগ্রীর ওপর ৫ শতাংশ কর চাপানো হবে। ১৭ শতাংশ পণ্য ১২ শতাংশ কর-শ্রেণিভুক্ত হবে,  ৪৩ শতাংশ সামগ্রী ১৮ শতাংশ কর-শ্রেণিভুক্ত হবে এবং ১৯ শতাংশ থাকবে ২৮ শতাংশে।


ঠান্ডা পানীয়, গাড়ি সব ২৮ শতাংশ কর-শ্রেণিতে থাকবে। এর পাশাপাশি, ছোট গাড়ির ওপর অতিরিক্ত ১ শতাংশ, মাঝারি গাড়ির ওপর ৩ শতাংশ ও লাক্সারি গাড়ির ওপর ১৫ শতাংশ সেস লাগু হবে।


এছাড়া, শীর্ষ কর-শ্রেণিতে থাকবে এয়ার কন্ডিশনার, রেফরিজারেটর।


জেটলি আশা প্রকাশ করেন, এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি হবে না। কারণ, অধিকাংশ দ্রব্যের দাম কমবে। তিনি জানান, বাকি জিনিসগুলির কর নির্ধারণও আগামীকালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এছাড়া, সোনা ও বিড়ির ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্তগ্রহণ করা হবে।