২০০৬ সালের শিশু বিবাহ নিষিদ্ধকরণ আইন অক্ষরে অক্ষরে রূপায়ণ না করে মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর চেষ্টা অন্যায় বলেও দাবি করেন তিনি। রশিদ বলেছেন, সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে প্রকাশ, গ্রামীণ এলাকায় ১৮ বছর হওয়ার আগেই ৩০ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। তাহলে চলতি আইন যথাযথ কার্যকর না করে এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলার মানে কী? গত বছর কেরল থেকে বৈধ বয়সে পৌঁছনোর আগেই মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার ৩০০টি ঘটনার রিপোর্ট এসেছে বলেও তাঁর দাবি। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে সঠিক আলোচনা হওয়া দরকার। যদিও মুসলিম লিগ এ ব্যাপারে কোনও আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং রশিদের বক্তব্য মহিলা শাখার নিজস্ব ভাবনা বলে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বেশি পড়াশোনা করে নিজেদের কেরিয়ার গড়ার সুযোগ পেতে পারে, এমন ভাবনা থেকে মেয়েদের বিয়ের আইনি বিয়ের বয়স নির্ধারণের জন্য় জয়া জেটলির নেতৃত্বে একটি ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্র। সম্প্রতি সেই কমিটি তাদের জমা দেওয়া রিপোর্টে মেয়েদের বিয়ের বৈধ বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার সুপারিশ করেছে।