নয়াদিল্লি: বাতিল ৫০০-১০০০ টাকার নোট ১০টির বেশি কাছে রাখলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ধরা হবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে হওয়া বৈঠকে অনুমোদিত স্পেসিফায়েড ব্যাঙ্ক নোটস সেসেশন অব লায়াবিলিটিজ অর্ডিন্যান্স অর্থাত্ বাতিল ব্যাঙ্ক নোট সংক্রান্ত দায়ের অবসান অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর থেকে কেউ ৫০০, ১০০০ টাকার নোট রাখতে পারবেন না। তবে আদালত বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অনুমোদিত লোকজনের বেলায় ব্যতিক্রম হবে। সর্বোচ্চ ১০টি বাতিল নোট একজন রাখতে পারবেন। তবে গবেষণার জন্য ২৫টি এ ধরনের নোট রাখা যাবে। গতকালের অর্ডিন্যান্সটি রাষ্ট্রপতির কাছে শীঘ্রই পাঠানো হবে। তিনি সম্মতি দিলেই বছরের শেষ দিন তা কার্যকর হবে।
বাতিল নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া যাবে কাল পর্যন্ত। কালই শেষদিন। অনিবার্য কারণবশতঃ এই সময়সীমার মধ্যে দিতে না পারলেও ৩১ মার্চ পর্যন্ত সুযোগ থাকছে। সেক্ষেত্রে কেন জমা দেওয়া হয়নি, সেই কারণ দেখিয়ে বাতিল নোট জমা দেওয়া যাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে।
বিদেশে থাকার কারণে বা প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকায় ডিউটি থাকায় যে জওয়ানরা জমা দিতে পারেননি, তারাও রিজার্ভ ব্যাঙ্কে যথাযথ বিশ্বাসযোগ্য কারণ দেখিয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাতিল নোট জমা দিতে পারবেন।
কিন্তু সেই সময়সীমার পরও কারও কাছে ১০টির বেশি বাতিল নোট পাওয়া গেলে ১০ হাজার টাকা বা বাতিল নোটের মোট অর্থমূল্যের ৫ গুণ অর্থ-যেটি বেশি, জরিমানা হবে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, শুধু আর্থিক জরিমানাই হবে, চার বছরের কারাবাসের শাস্তির বিধান থাকছে না। এমন প্রস্তাব থাকলেও শেষ পর্যন্ত সম্মতি পায়নি।
মিথ্যা কারণ দেখিয়ে সর্বোচ্চ ব্যাঙ্কে বাতিল নোট জমা দিতে গিয়ে ধরা পড়লে ৫ হাজার টাকা বা বাতিল নোটের অর্থমূল্যের পাঁচগুণ, যেটি বেশি, জরিমানা হবে।
অর্ডিন্যান্স কার্যকর হলে বাতিল নোট ঘিরে সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কোনওরকম দায় থাকবে না। দায় যতক্ষণ থাকবে, পুরানো বাতিল নোট নিয়ে আসা কাউকে ফেরাতে পারে না সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক।