নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস সংক্রমণের চিকিত্সায় সহায়ক হবে দাবি করে বাবা রামদেবের পতঞ্জলি এনেছে আয়ুর্বেদ ওষুধ 'করোনিল' ও 'স্বসরি বটি'। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে এই দুটি ওষুধ নিয়ে এসেছে পতঞ্জলি। এরপর ওই ওষুধের উপাদান ও তা লঞ্চ করার আগে যে গবেষণা চালানো হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পতঞ্জলিকে বলল কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রক।
মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে,কোভিড চিকিত্সার জন্য যে ওষুধের দাবি করা হয়েছে, তার কম্পোজিশন ও উপাদানের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডকে।
মন্ত্রক জানিয়েছে, কোভিড-১৯ এর জন্য যে যে হাসপাতালে গবেষণা চালানো হয়েছে, প্রোটোকল, স্যাম্পল সাইজ, ইন্সস্টিটিউশনাল এথিক্স কমিটি ক্লিয়ারেন্স, সিটিআরআই রেজিস্ট্রেশন ও গবেষণার ফলাফলের তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে যথাযথভাবে পরীক্ষিত না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের দাবির বিজ্ঞাপন ও প্রচার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।




মন্ত্রক উত্তরাখণ্ড সরকারকে কোরোনিলের উত্পাদনের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স সংক্রান্ত বিস্তারিত জানাতে বলেছে।
উল্লেখ্য, পতঞ্জলির সদর দফতর হরিদ্বারে, যা উত্তরাখণ্ড সরকারের এক্তিয়ারে আসে।
মন্ত্রক উত্তরাখণ্ড সরকারের সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষকে লাইসেন্সের প্রতিলিপি ও পণ্য সংক্রান্ত ছাড়পত্রের বিস্তারিত জানাতে বলেছে।
ওষুধ লঞ্চ করে এদিন পতঞ্জলি দাবি করেছে, ওই ওষুধ ১৪ দিনের মধ্যে কোভিড-১৯ সারাতে পারে।
আয়ুষ মন্ত্রক বিবৃতিতে আরও বলেছে, ওই দাবির বাস্তবতা ও উল্লেখিত বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিস্তারিত মন্ত্রকের জানা নেই।

এই মারণ ভাইসারের কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ এখনও আবিষ্কার হয়নি। এক্ষেত্রে একমাত্র গিলেড সায়েন্সেসের ওষুধ রেমডেসিভির করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে থাকার সময়সীমা কিছুটা কমিয়ে দেয় বলে দেখা গিয়েছে।