নয়াদিল্লি: যাবতীয় বিতর্ক অগ্রাহ্য করে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু তকমা না দেওয়ার অবস্থানে অনড় রইল কেন্দ্র। এ ব্যাপারে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আগের ইউপিএ সরকার সুপ্রিম কোর্টে যে আপিল করেছিল, তা প্রত্যাহার করল তারা। অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি শীর্ষ আদালতে জানিয়েছেন, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় কোনও সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান নয়। এ ব্যাপারে ১৯৬৭-র একটি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে তুলে ধরেছেন তিনি, যাতে বলা হয়েছে, আলিগড় সরকার প্রতিষ্ঠা করে, মুসলিমরা নন, তাই তাকে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া যাবে না।


রোহতগি জানিয়েছেন, ৬৭-র এই রায়কে পাশ কাটাতে ৮১-তে একটি সংশোধনী এনে এএমইউ-কে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া হয়। কিন্তু এলাহাবাদ হাইকোর্টে সেই সংশোধনী অসাংবিধানিক আখ্যা দেওয়া হয়েছে। রোহতগির বক্তব্য, ১৯৬৭-র রায় মেনেই চলবে কেন্দ্র, তাই হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ইউপিএ সরকারের আপিল প্রত্যাহার করছে তারা।

২০০৬-এর জানুয়ারিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত এএমইউ (সংশোধনী) আইন, ১৯৮১ অসাংবিধানিক ঘোষণা করে, ফলে উঠে যায় আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু তকমা। ওই তকমার জেরে মুসলিমদের আলিগড়ে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। আলিগড়কে সংখ্যালঘু বিশ্ববিদ্যালয় রাখার তাগিদে সুপ্রিম কোর্টে যায় আগের ইউপিএ সরকার। তার বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদী সরকার আদালতে জানিয়েছে, সংবিধানের ৩০ নম্বর ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, সংখ্যালঘু কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায় তাদের পছন্দমত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতেই পারে কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ দেশে কোনও কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানকে সংখ্যালঘু বলে ঘোষণা করা যেতে পারে না। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আগের সরকার যত আবেদন করেছে, সবই প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে তারা জানিয়ে দিয়েছে।