সোমবার, বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা জানান, এখনও পর্যন্ত বিমানের খোঁজ মেলেনি। এর জন্য তিনি দুঃখপ্রকাশও করেন। পাশাপাশি, উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফেও জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে কোনও দেহ বা ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ বিমানের তল্লাশিতে একটি সাবমেরিন সহ নৌসেনা ও কোস্টগার্ডের মোট ১৩টি জাহাজ এবং ৪টি বিমান নিরন্তর চক্কর কাটছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডার রঞ্জন বারগোত্রা।
তিনি জানান, যে অঞ্চল থেকে বিমানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, গত চারদিনে তাকে ঘিরে সমুদ্রের প্রতিটি দিকে খোঁজ চালানো হচ্ছে। নৌ ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি, তল্লাশি অভিযানে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অসেন টেকনোলজি (এনআইওটি) এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফরমেশন সার্ভিসেস (এনসিওআইএস)-এর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
বিমানে একটি এমার্জেন্সি লোকেটর ট্রান্সমিটর (ইএলটি) থাকা সত্ত্বেও, তা ঠিকমতো কাজ করেনি। ফলত, তল্লাশিকার্য চালাতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলের। এদিন এই বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বারগোত্রা বলেন, এই সমস্যার কথা বিমান নির্মাণকারী সংস্থাকে জানানো হবে।
এদিকে, নিখোঁজ বিমানের সম্বন্ধে সংসদে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের বিবৃতির দাবি করেছে বিরোধীরা। এদিন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। গোটা দেশ দেখছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উচিত ছিল এই নিয়ে সংসদে বক্তব্য পেশ করা, কারণ নিখোঁজদের পরিবার উদ্বেগে রয়েছে।
জবাবে, সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার জানান, সরকার, প্রতিরক্ষামন্ত্রক এবং বায়ুসেনা বিমানটিকে খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আশ্বাস দেন, বিরোধীদের এই বার্তা তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার চেন্নাইয়ের তাম্বারাম বিমানঘাঁটি থেকে আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার পথে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায় বায়ুসেনার এএন-৩২ মালবাহী বিমান। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ চেন্নাই থেকে ওড়ে বিমানটি। কিন্তু ১৬ মিনিটের মাথায় বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানে ২৯ জন ছিলেন।