নয়াদিল্লি: বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ভারত এখন মহাকাশের মহাশক্তি’। তিনি আরও জানিয়েছেন, আমেরিকা, রাশিয়া, চীনের পর মহাকাশের চতুর্থ মহাশক্তি হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ভারত। শুধু তাই নয়, অ্যান্টি মিসাইল লঞ্চ করে লো-আর্থ অরবিটে (এলইও)- থাকা একটি কৃত্রিম উপগ্রহকেও ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর এসবের পরই প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (দ্য ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন) এই সফল পরীক্ষা নিয়ে আসরে নেমে পরেছেন রাজনীতির কারবারিরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি থেকে শুরু করে বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ অমিত শাহ এবং এনডিএ শরিকরাও অ্যান্টি মিসাইল প্রযুক্তির পরীক্ষার পর সব সাফল্যের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এনডিএ-এর  এক ক্যাবিনেট মন্ত্রী হরসিমরত বাদল ইতিমধ্যেই অ্যান্টি মিসাইল উত্ক্ষেপণ-কে ‘মহাকাশে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বলে মন্তব্য করে বসেছেন। ‘মোদি বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত নিতিন গডকড়িও প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ কেবল অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবেই উঠে আসছে না, বিজ্ঞানেও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ।”


‘মিশন শক্তি’ নিয়ে মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অমিত শাহর ট্যুইট, “দেশের জন্য আজ গর্বের দিন। স্পেস পাওয়ার হিসেবে ভারত নিজের নাম নথিভুক্ত করাল। দেশের মানুষের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।” অমিতের সুরে সুর মিলিয়েছেন অরুণ জেটলিও। তিনি একদিকে মোদিকে যেমন ধন্যবাদ জানিয়েছেন অন্যদিকে কংগ্রেসকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি।


অরুণ জেটলির অভিযোগ, ‘ক্ষমতা ও স্বচ্ছতার অভাব’-এই কারণ দেখিয়েই কংগ্রেস এতদিন পর্যন্ত অ্যান্টি মিসাইল প্রোজেক্টকে আটকে রেখেছিল। ২০১২ সালে অগ্নি-ভি মিসাইল লঞ্চের পর দ্য ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশনের প্রধান ভি কে সরস্বত সরকারকে অ্যান্টি মিসাইল প্রোগ্রাম নিয়ে ভাবার কথা বললেও কংগ্রেস নির্বিকার ছিল। উল্লেখ্য, এদিন বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইক নিয়েও বিরোধীদের একহাত নেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। একই সঙ্গে মহাকাশে মহাশক্তি হয়ে উঠার পিছনে দেশের বিজ্ঞানীদের সাফল্যের  কথাও উল্লেখ করেছেন অরুণ জেটলি।